স্যান্ড আর্ট (Sand Arts) : অদ্ভুত এক শিল্প

‘Sand Art’ হচ্ছে এক প্রকারের শিল্প, যাতে বালি ব্যবহার করে করা হয় অনেক ধরনের শৈল্পিক কারুকাজ। যেমন : মানব শরীর, ভাস্কর্য, পশুপাখি, দালান-কোঠা, বাড়ি-ঘর, সমুদ্র সৈকত আরও অনেক কিছু। এই ধরনের শিল্পের ভিতরে শিশুদের জন্যও রয়েছে বিভিন্ন ধরনের কার্টুন চরিত্র ইত্যাদি। Sand-Arts-1

‘স্যান্ড আর্ট’ বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। নেটিভ এমেরিকায় এক ধরনের ‘স্যান্ড আর্ট’ রয়েছে যা এক ধরনের পেইন্টিং হিসাবে পরিচিত। এই ধরনের ‘স্যান্ড আর্ট’ তৈরি হয় কিছুটা ভিন্নভাবে। যেমন : প্রথমে কাগজে পেনসিল দিয়ে আঁকা হয়, তারপর নির্দ্দষ্ট অংশ কাঁটা হয় এবং সেখানে রং মেখে রাখা বালি ঢেলে দেয়া হয়। ব্যবহার করা হয় গ্লু, রং, কাগজ ইত্যাদি। সবশেষে তা শুকাতে হয়। Read More

রেইনবো রোজ : যে গোলাপ নিজেকে রংধনুর সাজে সাজিয়ে রাখে

অনেকেই দুর থেকে দেখলে একে নকল মনে করবে, মনে করতে পারে ইহা নিছক একটি প্লাস্টিক বা কাগজের তৈরি। কিন্তু কাছে গিয়ে দেখলেই চমকে যাবে। এমনই একটি ফুল – ‘রেইনবো রোজ’ বা রংধনু গোলাপ। এই ফুল ‘হেপি রোজ’ নামেও পরিচিত। Rainbow Rose

আমরা ছোটবেলাতে কমবেশি অনেকেই এই ধরনের গোলাপের ছবি এঁকেটি কল্পনার জগতে গিয়ে মনের মাধুরী মিশিয়ে বিভিন্ন রঙে সাজিয়ে। কিন্তু আজ আমাদের সেই ছোটবেলা-কার কল্পনার সেই ছবিটিই দেখা যাচ্ছে ইউকেতে। সর্ব-প্রথমবার এইখানেই রেইনবো রোজ দেখতে পাওয়া যায়।

Rainbow Rose

এইখানে কোন কৃত্রিমতার ছাপ নেই। কেউ বৈজ্ঞানিকভাবে ইহা তৈরিও করেনি। একদম শতভাগ প্রকৃতির তৈরি। প্রকৃতি নিজের হাতে এঁকেছে এই গোলাপকে।

যে ৫টি রোগ : যার ব্যাপারে ডাক্তাররা রোগীদের মিথ্যে বলে

১. থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস (Thyroid Disorders)

থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস (Thyroid Disorders)

থাইরয়েড হচ্ছে, ‘প্রজাপতির আকারে দেখতে একটি গণ্ড যা মানুষের ঘাড়ে বিদ্যমান এবং কলার-বোন বা  কণ্ঠার উপরে থাকে। ইহা একমাত্র অন্তঃ-স্রাবী গ্রন্থি যা হরমোন তৈরি করে থাকে। থাইরয়েড আমাদের বিপাক সেট কে সাহায্য করে (কি করে আমাদের শরীর খাদ্য থেকে শক্তি পায়)।

আর থাইরয়েড সমস্যাকে সহজভাবে বলতে গেলে গলার/ঘাড়ের সমস্যাকে বুঝায়। যা হোক, এই সমস্যা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সমস্যাগুলিকে ‘থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস’ বলা হয়। সাধারণত এটা ঘটে থাকে যখন থাইরয়েড সঠিকমত কাজ না করে। এই সময় মানুষের বেড়ে ওঠা, নার্ভাস-সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না। আর রোগী বিষণ্ণতায়ও ভুগে থাকে।

ডাক্তাররা সাধারণত এই ধরনের সমস্যা ‘থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস’ এর কথা রোগীকে বলে না। কোন মতে মিথ্যে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে। Read More

সত্যিকারের চলনশীল পাথরখন্ড

ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালী ন্যাশনাল পার্ক এ অবস্থিত প্যানামিন্ট পাহারের উত্তরের দিকের রেস-ট্রাক প্লায়া নামক লেক/হৃদ বেশিরভাগ সময়ই থাকে শুকনো। এই জন্য একে ড্রাই লেক বা শুকনো হৃদ বলে। ইহা ‘সেইলিং স্টোন’ এর জন্য বিখ্যাত। যেখানে পাথরখন্ডগুলি অদ্ভুতভাবে নড়াচড়া করছে। এক স্থান থাকে অন্য স্থানে সরে আসছে, ঠিক যেমন কোন গাড়ি চলাচল করে।

Read More

তিমি মাছ : পৃথিবীতে একাকীত্বই আজ যার সঙ্গী

২০০৪ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর একটি আর্টিকেলে এই তিমি (মেয়ে তিমি) মাছটিকে নিয়ে লেখা হয়। তিমি মাছটির পৃথিবীতে কেউ নেই। একাকিত্বভাবেই ঘুরে বেড়ানো তার কাজ। একাকীত্বকে মেনে নেয়া ছাড়া কোন কিছুই তার করার নেই। বিজ্ঞানীরা এই তিমিটিকে ১৯৯২ সাল থেকেই দেখে আসছে এবং তারা কিছু সমস্যাও বেড় করলো :

 

সে অন্যান্য তিমির মত না। অন্যান্য তিমি মাছদের মত তার কোন বন্ধু নেই, কোন পরিবার নেই। সে কোন কোন জাতিভুক্ত না বা কোন দল নেই। তাকে ভালোবাসার কেউ নেই। অনেকেই আমরা জানি তিমিরা গান গাইতে পারে। যখন একজন তিমি গান গায় তার গানে অন্যান্য তিমিরা গলা মেলায়, গান শুনে একত্র হয় যার ফলে একটি দল-গঠিত হয় এবং তা অনেক সময় ধরেই চলতে থাকে। এই গান তাদের কাছে এক ধরনের ডাক ছিল যে ডাকে অন্যান্যরা সাড়া দিতো। কিন্তু এই তিমিটার গান সেই সব কিছুই ঘটাত না। কিন্তু তার কণ্ঠ অন্যান্যদের মত ছিল না। এটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে অন্যান্যদের গানের ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ১২ এবং ২৫ মেগাহার্টজ, সেখানে এই নিঃসঙ্গ তিমিটার ফ্রিকোয়েন্সি ছিল প্রায় ৫২ মেগাহার্টজ (এই নিয়ে বিস্তারিত যাবো না)। বিজ্ঞানীরা দেখল এটাই এই তিমিটার মূল সমস্যা। অন্য কোন তিমি মাছেরা তার গান শুনতে পায় না। তার সেই গান, সেই ডাক কান্নায় পরিণত হয়ে ফিরে ফিরে আসে। আর সেই সাথে সে গভীর কাতর ও হতাশ হয়ে পড়ে।

উৎস : worldofamazings.com

অনুবাদ ও সম্পাদনা : এডমিন