আসছে আবেগ সনাক্তকারী ইন্টেলের নতুন থ্রিডি ক্যামেরা

ইসরাইলের হাইফাতে ইন্টেলের ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি সম্প্রতি একটি থ্রিডি ক্যামেরা তৈরির চেষ্টা করছে যা ব্যবহারকারীর আবেগকে বুঝতে সক্ষম হবে। তবে এটা শুধুমাত্র ল্যাপটপ এবং ট্যাবলেটের জন্যই প্রযোজ্য হবে।
ইন্টেল পারসেপচুয়াল কম্পিউটিং গ্রুপের স্ট্রেটেজিক প্ল্যানিং ডিরেক্টর ‘ঈগল ইয়ানছু’ এর মতে এই থ্রিডি ক্যামেরাতে উন্নত মানের সেন্সর ব্যবহার করা হবে। যার ফলে এই ক্যামেরা দিয়ে কোন ছবি তোলার সময় তার ব্যাকগ্রাউন্ড পরিবর্তন করে নেয়া যাবে। এছাড়াও ইহা রিমোট-কন্ট্রোল দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। তিনি আরও বলেন তার টিম যে ক্যামেরাটি ডেভেলপ করতে কাজ করে যাচ্ছে তা ক্যামেরাটিকে গ্যাসচার অর্থাৎ শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এর নড়াচড়া, ভয়েস এবং ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। এর কোন মানুষের উত্তেজনা, আবেগ, অনুভূতিকে বোঝার ক্ষমতা থাকবে। ব্যবহারকারী খুশী না রাগান্বিত সেটা সে বুঝতে পারবে। এছাড়াও ক্যামেরাটি দুরুত্ব, আকার-আকৃতি, গভীরতা, রঙ এবং কোন বস্তুর সীমারেখা বুঝতে সক্ষম হবে।

শিক্ষাক্ষেত্রেও এটি অনেক কাজে আসবে। যখন কোন শিশু কোন কিছু পড়তে কষ্ট পাচ্ছে বা ভালো করে বুঝে উঠছে না তখন ক্যামেরাটি সেই শিশুটির চোখের নড়াচড়া এবং প্রতিক্রিয়াটি সনাক্ত করে তা বলে দিতে পারবে। এছাড়াও এই ক্যামেরাটি কোন বস্তুর থ্রিডি ব্লু-প্রিন্ট তৈরি করে আর্কিটেকচারাল কাজে সাহায্য করতে পারবে। ইন্টেল বলে এই ক্যামেরাটি তুলনামুলকভাবে আকারে ছোট করা হবে যেন ইহা স্মার্টফোন, টেবলেট এবং ল্যাপটপের ওয়েবক্যাম হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।

লেখা : এলিন ২০১৩

উৎস : অনলাইন

NFC Wristband দিয়ে স্মার্ট-ফোন নিয়ন্ত্রণ

হাতে ব্যবহার করার জন্য নতুন এক ধরনের রিস্টব্যান্ড তৈরি হয়েছে যার নাম এনএফসি রিস্টব্যান্ড। এই রিস্টব্যান্ডটি দিয়ে আপনি আপনার স্মার্ট-ফোনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন, যেমন : ফোনের এ্যালার্ম বন্ধ করা, ভলিয়্যুম কমানো বা বাড়ানো ইত্যাদি।
স্প্যানিশ ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীদের একটি গ্রুপ এটি তৈরি করেছে। এর জন্য প্রয়োজনীয় এ্যাপ ডাউন-লোড করে ইন্সটল করে নিতে হয় ফোনে এবং হাতে এই রিস্টব্যান্ডটি ব্যবহারের মাধ্যমে ফোনের সকল কর্মকাণ্ডকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় ফোনটিকে কোন প্রকার না ধরে।
রিস্টব্যান্ডটি ‘ওয়াটার-প্রুফ’ যার ফলে পানি লাগলে বা পানিতে পড়ে গেলেও এর কোন ক্ষতি হবার সম্ভাবনা থাকে না। রিস্টব্যান্ডটি ডিজাইন করা হয়েছে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতি নিয়ত ব্যবহার উপযোগী করে। এতে ‘ন্যাচারাল রাবার’ ব্যবহার করা হয়েছে যেন এর স্থায়িত্ব বাড়ে।

রিস্টব্যান্ড
রিস্টব্যান্ড

লেখা : এলিন ২০১৩

গুগল গ্লাসের দূর্বলদিক !!

ডেভেলপাররা গুগল গ্লাসের একটি দূর্বলদিক খুঁজে বেড় করেছেন। QR Code বা Quick Response Code (কুইক রেসপন্স কোড) ব্যবহার করে গুগল গ্লাসকে কোন একটি কাজ করতে বাধ্য করানো সম্ভব। এক্ষেত্রে গুগল গ্লাসের ইউজার স্ক্রিন অন্যের সাথে শেয়ার করা অথবা ওয়াইফাই চালু করে অন্যকে শেয়ার দেয়ার মত ভয়ানক কাজও ইউজারের অজান্তেই করানো যেতে পারে কিউ আর কোড ব্যবহার করার মাধ্যমে।

গুগল গ্লাস
গুগল গ্লাস

গুগল গ্লাসে এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যে এর ক্যামেরা কোন ‘কিউ আর কোড’ দেখামাত্রই তা সনাক্ত করে ফেলে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা শুরু করে দেয়। যদি কোন ‘কিউ আর কোড’ কোন সংখ্যাকে প্রকার করে তাহলে গুগল গ্লাস কেউ কিউ আর কোডকে সনাক্ত করেই সরাসরি সেই সংখ্যাটিকে পড়ে নেবে।

এই সুযোগটি নিতে চেষ্টা করছে হ্যাকাররা। হ্যাকাররা ক্ষতিকারক ‘কিউ আর কোড’ তৈরি করছে যা গুগল গ্লাস দেখামাত্রই এমন কিছু কর্মকাণ্ড ঘটাবে যা গুগল গ্লাস ব্যবহারকারীর জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়াবে।

গুগল গ্লাস ব্যবহারকারীরা ক্ষতিকর সেইসব ‘কিউ আর কোড’ পড়লে অনায়াসেই ব্লুটুথ বা ওয়াইফাই এর কারণে অন্য গুগল গ্লাস ব্যবহারকারীরা তা জেনে নিতে পারবে। এর ফলে এটিএম এর পিন-কোড বা কোন গোপন তথ্য চুরি হয়ে যাবার সম্ভাবনা রয়েছে।

লেখা : এলিন ২০১৩

ফেইসবুক এর সেরা দশটি ব্যাপার

top-10-facts-about-facebook
১. এই পৃথিবীর ১৩ জন লোকের ভিতরে দৈনিক ১ জন ফেইসবুকে থাকে।
২. প্রতি ২০ মিনিটে ২,৭১৬,০০০ ফটো আপলোড হয়ে থাকে।
৩. প্রতি ২০ মিনিটে ১০.২ মিলিয়ন কমেন্ট পোস্ট হয় ফেইসবুকে।
৪. প্রতি ২০ মিনিটে ১,৯৭২ মিলিয়ন ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট একসেপ্ট হয়ে থাকে।
৫. প্রতি ২০ মিনিটে ১,৮৫১,০০০ স্ট্যাটাস আপডেট হয়।
৬. ১৮ থেকে ৩৪ বছরের মানুষদের প্রায় ৪৮ শতাংশ ঘুম থেকে উঠেই ফেইসবুক চেক করে।
৭. ফেইসবুক ব্যবহারকারীরা প্রতি মাসে ৭০০ বিলিয়ন এরও বেশি মিনিট ফেইসবুকে কাটায়।
৮. যারা মোবাইলে ফেইসবুক ব্যবহার করে তারা অন্যদের থেকে দ্বিগুণ সময় কাটায় ফেইসবুকে।
৯. ফেইসবুকের সব থেকে বেশি জনপ্রিয় ফ্যান-পেজ হচ্ছে ‘Texas Hold’em Poker’ যার ফ্যান ৪১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে।
১০. সব থেকে ইউএসএ তে বেশি ফেইসবুক ব্যবহারকারী রয়েছে যার পরিমাণ ২৩.৬ শতাংশ।

রোবট ড্যান্স : গাং-নাম স্টাইলের তালে নেচে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছে এক রোবট

চীনের পূর্বাঞ্চল ‘হ্যাংঝোউতে’ একক নৃত্যের উপরে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সেখানে বিচারকও ছিলেন, দর্শকরাও ছিলেন, যেমনটি থাকে অন্যান্য সাধারণ প্রতিযোগিতাগুলিতে।

কিন্তু এই প্রতিযোগিতাটি অন্যান্য প্রতিযোগিতা থেকে ভিন্ন ছিল। এখানেrobot gangnam style dance প্রতিযোগীরা কোন মানুষ ছিল না। এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল কিছু সংখ্যক রোবটদের নিয়ে।

আর সেখানে সকল রোবট নৃত্যশিল্পীদেরকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে একটি রোবট, যে নেচেছিল এখনকার দিনের সারা জাগানো গান ‘গাং-নাম স্টাইল’ এর সাথে। এই গানটি এই পর্যন্ত ইউটিউবে ৬০০ মিলিয়নের মত হিট পড়েছে।

এই ‘গাং-নাম স্টাইল’ গানটি গেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার একজন র‍্যাপার (যে র‍্যাপ গান গায়) Psy । তিনি এই গানটি রিলিজ করেন এই বছরের জুলাই মাসে। এতে তিনি একটি বিশেষ স্টাইলে নেচেছেন যাকে নাম দিয়েছেন ‘গাং-নাম স্টাইল’ বা ‘হর্স ড্যান্সিং’।

নিচে ভিডিওটি দেখুন (ভিডিও লিংকটি মাঝে মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে 🙁 )

ইউটিউব লিংক : http://youtu.be/lwcz0S_oqZM

উৎস : বিবিসি নিউজ ২০১২