প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা গ্রাস করে নিচ্ছে
ধীরে ধীরে আমার সর্বস্ব !
গ্রাস করে নিচ্ছে সকল মায়ার বাঁধন !
সংকুচিত হয়ে পড়ছে কৌতূহলে পরিধি।
ছিনিয়ে নিচ্ছে সরলতা-মাখা সেই ছোট্ট মন;
উদ্দীপনায় ভরা হৃদয়ের কম্পন।
ধ্বংস করে দিচ্ছে দৃষ্টির সীমানা।
শুধুমাত্র আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কোন লেখা এখানে দেয়া থাকবে।
প্রকৃতির নিষ্ঠুরতা গ্রাস করে নিচ্ছে
ধীরে ধীরে আমার সর্বস্ব !
গ্রাস করে নিচ্ছে সকল মায়ার বাঁধন !
সংকুচিত হয়ে পড়ছে কৌতূহলে পরিধি।
ছিনিয়ে নিচ্ছে সরলতা-মাখা সেই ছোট্ট মন;
উদ্দীপনায় ভরা হৃদয়ের কম্পন।
ধ্বংস করে দিচ্ছে দৃষ্টির সীমানা।
কথা দিয়েছিলে –
নিয়ে যাবে দুর পর্বতের চূড়ায়।
কথা দিয়েছিলে –
নিয়ে যাবে বিশুদ্ধ সমুদ্রের বিশালতায়;
স্নান করাবে জ্যোৎস্নার মলিনতায়;
বকুলের নির্জাসে মাখাবে হৃদয়।
দুর করে দেবে সমস্ত কষ্ট, সমস্ত ভয়।
কথা দিয়েছিলে !
সেদিন রাতে প্রায় ১ টার সময়, একটি কল এলো। আমি কলটি রিসিভ করতেই অবস্থা খারাপ। :p
কে যেন আজগুবি ভাষায় কথা বলছে। কথা শুনে মনে হচ্ছে ইংরেজি সিনেমায় জংগলের দৃশ্যে যেমন কিছু মানুষ দেখায়, কালো দেহ এবং জামাকাপড় বলতে গেলে থাকেনা, আর হাতে থাকে বর্শা, সর্বক্ষণ তারা শিকারের নেশায় থাকে, এমন কারও সাথে কথা বলছি। আমি প্রথম দিকে অনেকটা অবাক এবং কৌতূহলী হয়ে গেলাম।
আমি তাকে কোন মতেই বুঝাতে পারছিলাম না আমি তার ভাষাটি বুঝতে পারছি না। কারণ সে আবার ইংরেজি বোঝেনা, শুধুমাত্র কয়েকটি শব্দ বোঝে। আমি আমার আম্মুকে দিলাম ফোনটি কারণ আম্মু অনেকটা মজা পাবে তাই। পরে আবার আম্মু আমাকে ফোনটি দিয়ে দিল আর বলল আমি যেন ইংরেজিতে তাকে বলি এটা বাংলাদেশ। আমি ইংরেজিতে তাকে এটা বাংলাদেশ শুধু এটাই-না আরও অনেক কিছুই বলতে লাগলাম। বাঙ্গালিদের থেকে ভিন্ন কোন দেশের মানুষের সাথে ইংরেজি বলাটা আমার কাছে তুলনামূলক সহজ মনে হয়। 🙂
কি আর করা আমি আমার মত ইংরেজি বলে যাচ্ছি আর তিনি তার মত আজগুবি ভাষা। এমনটি হয়েছে প্রায় ৩০ মিনিটের মত।
আগে মানে অনেক আগে প্রচুর ‘দাবা’ খেলা হতো। আমার বন্ধুদের সাথে, ক্লাশম্যাটদের সাথে, কাকা/মামাদের সাথে, আমার আম্মুর সাথে এমনকি একা একাও। বলা যায় আমি ছিলাম দাবার একটা ফ্যান। তখন ধৈর্যও ছিল অনেক। মোটামুটি খুব একটা খারাপও খেলতাম না এই দাবাটা। এখনও মনে পড়ে, সাইফুল, সোহাগ, রাজীব এর কথা এমনকি আমার শাহাদাত কাকার কথাও। আমার সাথে দাবা খেলত প্রতিদিন অন্তত ১ গেম হলেও। আমি আমার স্যার (যিনি বাসাতে পড়াতেন) তাঁর সাথেও দাবা খেলতাম পড়ার শেষে।
কিন্তু আজ আর এমন ধৈর্যশক্তিও নেই আর মানুষিক অবস্থাও নেই। তাই দাবার মত এত সুন্দর একটি খেলা থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।
কি মনে করে যেন আবার দাবার কথা মনে পড়তেই টুকটাক এটাকে নিয়ে নাড়াচাড়া করা পড়ছে। প্রথমে ধরলাম উইন্ডোজ ৭ এর ‘Chess Titans’ । অনেক সুন্দর ত্রিমাত্রিক এই Chess টা। এ্যানিমেটেডও। সাউন্ড কোয়ালিটিও খারাপ না। লেভেল আছে ১০ টা। এই লেভেল হলো এক্সপার্ট লেভেল। ডিফল্ট ছিল ৮। আমি খেলে তো অবাক। যদিও আগের মত চিন্তা করে টাইম নিয়ে খেলতে পারি না এখন। তারপরেও অবাক করে দিয়ে প্রকৃতি আমাকে জিতিয়ে দিল। 😀 অনেকটা ‘মাই-গড’ টাইপের খুশি হয়েছিলাম। 🙂 ফেইসবুকে ফ্রেন্ডের সাথে সেই খুশি শেয়ারও করে ফেললাম। নিচে স্ক্রিনশট এ আমি ‘সাদা’ নিয়ে খেলেছিলাম।
বললে সেদিন,
আমি নাকি আবেগহীন,
মনহীন এক জড়।
অচিরেই ভেঙ্গে দিতে পারি-
প্রেমের গড়া সে মন্দির।
আমি নাকি বুঝিনা!
আমি নাকি বুঝিনা – আনন্দ, বেদনা, যাতনা!
আমি নাকি দেখিনা!
আমি নাকি দেখিনা – হৃদয়ের গভীরে
বয়ে যাওয়া এক অশান্ত ঝড়!
বললে সেদিন,
আমি নাকি আবেগহীন,
মনহীন এক জড়।
তবে কি বলতে পারো ?
দিতে পারো এক ছোট্ট উত্তর ?
“আমার কেন কষ্ট হয় ?”
রাত নেমে এলে ঘুমের জগতে –
পাড়ি দিতে কেন ভয় ?
“আমার …
কেন কষ্ট হয় ?”
– এলিন (১৭/১১/২০১১)