আমি বদলে যাচ্ছি।
বদলে যাচ্ছি ধীরে ধীরে-
যা আমি চাই না।
আমি বদলে যাচ্ছি।
বদলে যাচ্ছে মনের অনুভূতি-
বদলে যাচ্ছে সেই পুরনো যন্ত্রণা।
বদলে যাচ্ছে সেই চাঁদ- রাতের নিস্তব্ধতা।
আমার নিজের লেখা যে কোন বিষয় এখানে দেয়া হবে।
আমি বদলে যাচ্ছি।
বদলে যাচ্ছি ধীরে ধীরে-
যা আমি চাই না।
আমি বদলে যাচ্ছি।
বদলে যাচ্ছে মনের অনুভূতি-
বদলে যাচ্ছে সেই পুরনো যন্ত্রণা।
বদলে যাচ্ছে সেই চাঁদ- রাতের নিস্তব্ধতা।
গতরাতে ঘুমাই নি। জেগে জেগে নিশি পার করেছি। পরের দিন (মানে আজ সকালে) গোসল করে, খেয়েদেয়ে তারপর ঘুমাতে যাই। প্রায়ই আমার এমনটি হয়। নিস্তব্ধ রাতের সাথে কাঁটিয়ে দেই জীবনের কতকটা মূহুর্ত। খুব ভাল লাগে কিনা, জানি না- শুধু জানি এটাই নিয়ম।
নিস্তব্ধ রাতেরাও আমার সঙ্গ চায়, যেমনটা চায় আমার প্রিয় বন্ধুরা। …
যা হোক, সকালে একটু শুয়ে থাকলাম। চোখের পাতাদুটি এক হতেই কে যেন আমার কপালে মৃদু স্পর্শ করলো। সেই স্পর্শ এতোটা কোমল ছিল, এতোটা সুন্দর ছিল- যে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল।
তাকিয়ে কাউকেই দেখতে পেলাম না- সেই বরাবরের মতই। শুধু বুঝতে পারলাম। …
স্পর্শটি ছিল ছোট্ট এক চড়ুইয়ের। সে উড়ে এসে তার ছোট্ট ঠোঁট দিয়ে আমার কপালে স্পর্শ করলো। যেন বরাবরের মতই চুমু গেঁথে দিল। ঘুম ভেঙ্গে গেলে আমি তাকে অনেক খুঁজি, কিন্তু পাই না। …
আমার কৌতূহলী মন, আজও সেই ছোট্ট চড়ুইয়ের সন্ধান করে বেড়ায়। জানতে চায় তার উদ্দেশ্য- চিনতে চায় তার আসল রূপ। …
– এলিন ( তারিখ: ০৩/১১/২০১১)
আঁধারের মাঝে তোমায় দেখি
আলোয় দেখিতে চাই,
চোখ বুজিলেই তুমি থাকো-
মেলিলেই দেখি নাই।
যখন আমি থাকি একা বসে,
হঠাৎ দেখি তুমি আছো পাশে।
একাকীর সাথী তুমি একাকিনী;
নীরবের সাথী তুমি নীরবীনী;
রাতের আকাশে তাঁরা দেখি যখন-
তোমার ছোঁয়া পাই
যতক্ষণ আমি ঘুমিয়ে থাকি;
ততক্ষণ তুমি করো ডাকাডাকি;
ঘুম ভেঙ্গে গেলে চোখ মেলে দেখি-
তুমি আর পাশে নাই।
তোমার সঙ্গো লাগে খুব ভালো;
তাই অপ্রিয় হয়ে গেলো আলো;
তাইতো আমি গভীর ঘুমে-
ঘুমিয়ে থাকতে চাই
– এলিন
জানি না কি চাই আমি
কিসে হবো শান্ত;
অশান্ত হৃদয় আমার
বেদনায় আক্রান্ত।
ছটফট করে মন
অকারণ অস্থির
পারিনা রাখতে মাথা
দু’মিনিট স্থির।
এটুকু হৃদয় মোর
জানিনা কি চায়!
যত কিছু দেই তারে
তবুও কাঁদায়।
জানি না কি চাই আমি
নাকি সবই ভ্রান্ত
জানিনা কি পেলে আমি
হবো চীর-শান্ত।
মনে হয় মৃত্যুই দিতে পারে শান্তি-
আর কিছুই চাইনা-
আমি বড় ক্লান্ত।
– এলিন
তোমায় কেন জানি বুঝেও বুঝিনা!
এতো কিছু বুঝি,
এতো কিছু জানি,
বলে ফেলি অতিতের কত ঘটনা-
শুধু তোমায় কেন জানি, বুঝেও বুঝিনা!
কখনও বা তুমি শান্ত অতি,
ধীরে ধীরে বয়ে যাওয়া কোন এক নদী;
কখনও বা উত্তাল অশান্ত ঢেউ,
অতি চেনা, সুনয়না, আমারই কেউ।
কখনও বা দ্বিধাহীন ছোট্ট শিশু,
কখনও অস্থীর, আনমনা;
… তোমায় চিনেও চিনি না,
… কেন জানি চিনতে পারি না!
-এলিন [ এপ্রিল-২০১০]