একটি ইলেক্ট্রনিক দোকান থেকে বেড় হচ্ছে একটি পরিবার –
ছেলের হাতে একটি ‘i-PAD’;
মেয়ের হাতে একটি ‘i-POD’;
মায়ের হাতে একটি ‘i-Phone’এবং
সবশেষে বাবা বেড় হচ্ছে, তার হাতে একটি ছোট্ট কাগজের টুকরা আর তাতে লেখা – ‘I PAID !!’ …. 🙂
Category: ভিন্ন-লেখা
ভিন্নলেখা হচ্ছে প্রধান মেনু, যেখানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ছাড়া বাকি প্রায় সকল ক্যাটেগরীই দেয়া থাকবে।
রোবট ড্যান্স : গাং-নাম স্টাইলের তালে নেচে প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করেছে এক রোবট
চীনের পূর্বাঞ্চল ‘হ্যাংঝোউতে’ একক নৃত্যের উপরে একটি প্রতিযোগিতা হয়েছিল। সেখানে বিচারকও ছিলেন, দর্শকরাও ছিলেন, যেমনটি থাকে অন্যান্য সাধারণ প্রতিযোগিতাগুলিতে।
কিন্তু এই প্রতিযোগিতাটি অন্যান্য প্রতিযোগিতা থেকে ভিন্ন ছিল। এখানে প্রতিযোগীরা কোন মানুষ ছিল না। এই প্রতিযোগিতা হয়েছিল কিছু সংখ্যক রোবটদের নিয়ে।
আর সেখানে সকল রোবট নৃত্যশিল্পীদেরকে হারিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে একটি রোবট, যে নেচেছিল এখনকার দিনের সারা জাগানো গান ‘গাং-নাম স্টাইল’ এর সাথে। এই গানটি এই পর্যন্ত ইউটিউবে ৬০০ মিলিয়নের মত হিট পড়েছে।
এই ‘গাং-নাম স্টাইল’ গানটি গেয়েছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার একজন র্যাপার (যে র্যাপ গান গায়) Psy । তিনি এই গানটি রিলিজ করেন এই বছরের জুলাই মাসে। এতে তিনি একটি বিশেষ স্টাইলে নেচেছেন যাকে নাম দিয়েছেন ‘গাং-নাম স্টাইল’ বা ‘হর্স ড্যান্সিং’।
নিচে ভিডিওটি দেখুন (ভিডিও লিংকটি মাঝে মাঝে কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছে 🙁 )
ইউটিউব লিংক : http://youtu.be/lwcz0S_oqZM
উৎস : বিবিসি নিউজ ২০১২
বিস্ময়কর বানর-সদৃশ অর্কিড …
অর্কিড এর সাথে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। ইহা এক প্রকারের ফুল, এবং Orchidaceae (অর্কিডাসি্ই) পরিবারের একজন সদস্য। এই পৃথিবীতে কমপক্ষে ২৫০০০ প্রকারের ভিন্ন ভিন্ন অর্কিড রয়েছে। এই প্রকারের ফুল ঘরের শোভা বাড়ায়।
কিন্তু প্রকৃতি বড়ই বিচিত্র। বিচিত্র তার খেয়াল। আর তারই একটি উদাহরণ হল এই নতুন ধরনের অর্কিড। বিস্ময়কর এই অর্কিডকে বলা যায় ‘মানকি অর্কিড’ বা ‘বানর-সদৃশ অর্কিড’।
এই অদ্ভুত অর্কিড পৃথিবীর দক্ষিণ-পূর্ব দিকের ইকুয়াডোরিয়ান এবং পেনুভিয়ান ক্লাউড বনে প্রথম দেখা যায়। সে সময় এই অর্কিড ছিল প্রায় ১০০০ থেকে ২০০০ মিটার উঁচুতে তাই অনেক মানুষই বিভিন্ন স্থান হইতে ফুলগুলি দেখতে পায়।
এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘ড্রাকুলা সিমিয়া’। এই অর্কিডের প্রধান বৈশিষ্ট্য যা অন্য অর্কিডগুলি থেকে একে ভিন্ন করে রেখেছে আর তা হল এগুলি দেখতে প্রায় বানরের মুখের মত।
এই ‘মানকি অর্কিডটি’ যে কোন ঋতুতেই জন্মাতে পারে। এর কোন নির্দিষ্ট সময় নেই। আর এই অর্কিডটি থেকে পাকা কমলার মত ঘ্রাণ আসতে থাকে।
বিচিত্র এক বাড়ি : বৃষ্টির তালে যে তাল মেলায়
এই পৃথিবী যেমন বিচিত্র তেমনি বিচিত্র এর মানুষগুলি, বিচিত্র তাদের শখ। আর
এই শখগুলি পূরণের জন্য তারা কত কিছুই না করে থাকে। এমনই এক উদাহরণ হিসাবে বলা যায় জার্মানির ড্রেসডেন নামক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকা বাড়িটির কথা।
প্রতিটি বাড়ির বাইরেই সংযুক্ত থাকে পাইপ, যা ব্যবহৃত পানিকে সরাসরি বাড়ির বাইরের ড্রেনে পাঠিয়ে দেয়। জার্মানির এই বাড়িটির বাইরেও রয়েছে এমনই সংযুক্ত পাইপ যা অন্যান্য বাড়ির মত এই বাড়িটি থেকেও ব্যবহৃত পানি বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু এই বাড়িটির পাইপগুলি অন্যান্য বাড়ির মত একই রকম না, যথেষ্ট ভিন্ন যা দেখলে বুঝা যায় পৃথিবী বড়ই বিচিত্র।
ফ্রাঙ্ক শেলক, বিশ্বের একজন ভাগ্যবান লোক : যিনি মৃত্যুকে সাতবার এড়িয়ে গিয়ে (!) অবশেষে ১ মিলিয়ন ডলার লটারি জিতে নেন
ফ্রাঙ্ক শেলক নামক একজন ক্রোটিয়ান মিউজিসিয়ান (যিনি একজন মিউজিক টিচারও), ভাগ্য তার জন্য দুর্ভাগ্যের প্রথম রেখাটি আঁকে ১৯৬২ সালে একটি ট্রেন যাত্রায়। ট্রেন যাত্রাটি ছিল সারাজেভো নামক শহর থেকে ডুব্রভনিক নামক শহরে। হঠাৎ করে ট্রেনটি সবাইকে অবাক করে দিয়ে লাফ দিয়ে উঠে এবং বরফের একটি নদীতে গিয়ে পড়ে। এই দুর্ঘটনায় ১৭ জন যাত্রী মারা যায়। শেলক সাঁতার জানতো এবং একটি তীরে উঠে সেইবার কোনমতে বেঁচে যায়। কিন্তু বেঁচে গেলেও তিনি হাইপোথেরমিয়াতে ভোগেন এবং তার একটি হাত ভেঙ্গে যায়।