এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন ফাইল :
এন্ড্রয়েড এ্যাপ ফাইল গুলি দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি শুধুমাত্র জাভাবেইসড বা সম্পূর্ণ জাভা দিয়ে ডেভেলপ করা এ্যাপ আরেকটি ভিন্ন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেভেলপ করা এ্যাপ। যদিও ভিন্ন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে এ্যাপ ডেভেলপ করা যায় তারপরেও জাভা এর ব্যবহার লাগবেই।
এন্ড্রয়েড এ্যাপ ফাইল ফরম্যাট দুই ধরনের :
১. APK (Application Package File) ফরম্যাট যা এন্ড্রয়েড এর জন্য প্রধান ফরম্যাট।
২. JAR (Java ARchive) ফরম্যাট।
উদাহরণ : ‘Candle Free.apk’ এবং ‘Bangla Dictionary.jar’।
ওয়াই-ফাই কি ?
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় টেকনোলজি যা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ‘রেডিও তরঙ্গ’ (রেডিও তরঙ্গ বা Radio Waves সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ‘http://en.wikipedia.org/wiki/Radio_waves’) ব্যবহার করে কোন প্রকারের তার ছাড়াই খুবই দ্রুততার সাথে ডেটা (তথ্য) বিনিময় করার অনুমতি দেয়। এই Wi-Fi কে ‘WLAN’ এ বলা হয়ে থাকে, যার পুরো অর্থ ‘Wireless Local Area Network’।
সাধারণত সকল ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, এম পি থ্রি প্লেয়ার, ভিডিও গেম কনসোল এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার ইত্যাদি ডিভাইসে এই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যায়।
পরস্পর সংযুক্ত ইন্টারনেটে এক্সেস পয়েন্টগুলোকে “হটস্পট” বলে। একটি হটস্পট কয়েকটি কক্ষ নিয়ে হতে পারে বা কয়েক মাইল বিস্তৃত হতে পারে।
ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে আমেরিকায়। এই বিষয়ে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নাই বললেই চলে।
ওয়াই-ফাই এর সুবিধা :
ওয়াই-ফাই তুলনামুলভাবে সস্তায় পাওয়া যায়। যেখানে তার সংযোগ দেয়া সম্ভব নয় সেখানে ওয়াই-ফাই অনেক কার্যকর একটি মাধ্যম। ওয়াই-ফাই ডিভাইস বিশ্বের যে কোন যায়গায় কাজ করে। এছাড়াও এর সিকিউরিটিও ভালো।
(এছাড়াও আরও অনেক সুবিধা রয়েছে যা উল্লেখ করলে লেখাটি বড় হয়ে যাবে এবং যারা নতুন আর খুবই সহজে বুঝতে চায়, জানতে চায় তাদের জন্য কঠিন আর বিরক্তিকর মনে হয়ে।)
ওয়াই-ফাই এর রেঞ্জ :
ওয়াই-ফাই এর রেঞ্জ (পরিসর) অনেক কম। সাধারণত এই রেঞ্জ হয়ে থাকে ঘরের ভিতরে ১২০ ফিট এবং ঘরের বাইরে ৩০০ ফিট।
তবে ঘরের বাইরের এই ওয়াই-ফাই এর রেঞ্জ বাড়ানো যায় অনেক কিলোমিটার পর্যন্ত। এর জন্য ভালোমানের রাউটার এর সাথে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এন্টেনা ব্যবহার করতে হবে।
এন্ড্রয়েড ফোনে ওয়াই-ফাই একটিভ করা :
কোন এলাকা ওয়াই-ফাই স্পট হলে এবং সেই ওয়াই-ফাই যদি আপনাকে অনুমতি দেয় একসেস করার জন্য তাহলে আপনার এন্ড্রয়েড ফোন হতে –
Settings এ যান -> Wireless and networks এ টাচ করুন -> Wi-Fi settings এ টাচ করুন -> Wi-Fi অপশনটি এনাবল করুন।
যদি পাসওয়ার্ড চায় তাহলে পাসওয়ার্ড টাইপ করুন।
( ওয়াই-ফাই কানেক্ট হলেই ‘ওয়াই-ফাই সিগন্যাল আইকনটি’ দেখতে পাবেন। )
সংক্ষেপে ব্লুটুথ নিয়ে আলোচনা :
ব্লটুথ (Bluetooth) একটি ওয়্যারলেস টেকনোলজি, যা দিয়ে ডেটা ট্রান্সফার করা যায় এক ডিভাইস থেকে অপর কোন ডিভাইসে। এটি ১-১০০ মিটার দূরত্বের মধ্যে ওয়্যারলেস যোগাযোগের একটি পদ্ধতি।
সাধারণত ব্লুটুথ- কাজ করে ১০ মিটার এর ভিতরে। তবে বিদ্যুৎ কোষের শক্তি বৃদ্ধি করে এর পরিধি ১০০ মিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
ব্লুটুথ ১.০-এর তথ্য আদান-প্রদান-এর সর্বোচ্চ গতি ছিল সেকেন্ডে ১ মেগাবিট। বর্তমানে ব্লুটুথ ২.০-এর সর্বোচ্চ গতি হল সেকেন্ডে ৩ মেগাবিট।
বর্তমানে কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, গেমিং কনসোল, ডিজিটাল ক্যামেরা, প্রিন্টার, ল্যাপটপ, জিপিএস রিসিভার প্রভৃতি যন্ত্রাদিতে ব্লুটুথ প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।
৯০০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ের ডেনমার্কের রাজা Harald Bluetooth-এর নামানুসারে এই প্রযুক্তির নামকরণ করা হয়েছে।
(বি: দ্র: এডমিনের অনুমতি ব্যতীত এই লেখা অন্য কোথাও পোস্ট করা যাবে না। একান্ত প্রয়োজনে যদি কেউশেয়ার করতেই চান তাহলে অবশ্যই এই ব্লগটির লিংক ব্যবহার করুন।)
Now this sound interesting. The facts provided here makes me think again about the wifi is ? 🙂
Thanks for your comment. 🙂