‘এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট’ : যে সকল বিষয়ে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন
এন্ড্রয়েড ডেভেলপমেন্ট হলও একটি পদ্ধতি যার দ্বারা কোন নতুন এপ্লিকেশন তৈরি করা হয় এন্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম এর জন্য। এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন সাধারণত ডেভেলপ করা হয় ‘জাভা প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ’ এর দ্বারা এবং এন্ড্রয়েড সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট বা Android SDK Tool ব্যবহার করে কিন্তু এখন অন্যান্য ডেভেলপিং টুলস ও পাওয়া যায়।
এন্ড্রয়েড রুটিং – এন্ড্রয়েড রুটিং কি এবং এর সাবধানতা :
এন্ড্রয়েড রুটিং করাকে আই-ফোনের ভাষায় ‘জেইলব্রেক’ করা বলে। অর্থাৎ জেল থেকে আসামী পালানোর সাথে একে তুলনা করা হয়েছে। জেলে একজন আসামী যতদিন থাকে ততদিন নিজের ইচ্ছেমত কোন কাজ করতে পারে না, থাকে অন্যের অধীনে। তাকে যতটুকু কাজ করতে বলা হবে সে ঠিক ততটুকুই কাজ করতে পারবে এর বেশি নয়। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেলে সে আর আসামী থাকবে না এবং অন্যের অধীনেও থাকবে না। সে সময় সে নিজের ইচ্ছেমত যে কোন জায়গায় যেতে পারবে এবং যা ইচ্ছে তাই করতে পারবে। এন্ড্রয়েড এর রুটিং বা আই-ফোনের জেল-ব্রেক অনেকটা এমনই ব্যাপার।
এন্ড্রয়েড এ্যাপ ফাইল গুলি দুই ধরনের হয়ে থাকে। একটি শুধুমাত্র জাভাবেইসড বা সম্পূর্ণ জাভা দিয়ে ডেভেলপ করা এ্যাপ আরেকটি ভিন্ন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে ডেভেলপ করা এ্যাপ। যদিও ভিন্ন কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে এ্যাপ ডেভেলপ করা যায় তারপরেও জাভা এর ব্যবহার লাগবেই।
এন্ড্রয়েড এ্যাপ ফাইল ফরম্যাট দুই ধরনের :
১. APK (Application Package File) ফরম্যাট যা এন্ড্রয়েড এর জন্য প্রধান ফরম্যাট।
২. JAR (Java ARchive) ফরম্যাট।
উদাহরণ : ‘Candle Free.apk’ এবং ‘Bangla Dictionary.jar’।
ওয়াই-ফাই কি ?
ওয়াই-ফাই (Wi-Fi) হচ্ছে একটি জনপ্রিয় টেকনোলজি যা কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইসকে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ‘রেডিও তরঙ্গ’ (রেডিও তরঙ্গ বা Radio Waves সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন ‘http://en.wikipedia.org/wiki/Radio_waves’) ব্যবহার করে কোন প্রকারের তার ছাড়াই খুবই দ্রুততার সাথে ডেটা (তথ্য) বিনিময় করার অনুমতি দেয়। এই Wi-Fi কে ‘WLAN’ এ বলা হয়ে থাকে, যার পুরো অর্থ ‘Wireless Local Area Network’।
সাধারণত সকল ল্যাপটপ, স্মার্ট ফোন, এম পি থ্রি প্লেয়ার, ভিডিও গেম কনসোল এবং ব্যক্তিগত কম্পিউটার ইত্যাদি ডিভাইসে এই ওয়াই-ফাই ব্যবহার করা যায়। Read More
‘গুগল প্লে’ থেকে এন্ড্রয়েডের এপ্লিকেশন সংগ্রহ করা :
১. যেহেতু আপনাকে এন্ড্রয়েড ডিভাইস থেকেই সংগ্রহ করতে হবে (সিকিওর থাকার জন্য) তাই ডিভাইসটিতে অবশ্যই ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে।
যদি আপনি সিম থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকেন তাহলে চেক করে দেখুন ‘Use packet data’ অপশনটি এনাবল করা আছে কিনা। আর এই জন্য আপনার ফোনের নিচের হার্ড টাচ বাটন দুইটির বামের বাটনটিতে চাপ দিতে হবে এবং Settings এ গিয়ে Wireless and networks অপশনটিতে যেতে হবে। তারপর Mobile networks এ যেতে হবে। use packet data অপশনটি এইবার এনাবল করে দিন একটি টিক চিহ্ন বসানোর মাধ্যমে।
২. আপনার এন্ড্রয়েড ডিভাইস হতে (স্মার্ট ফোন) প্রথমে Play Store ‘প্লে স্টোর’ এ্যাপটি (এই এপ্লিকেশনটি ফোনে ডিফল্ট-ভাবেই দেয়া থাকে) রান করান অথবা ডাইরেক্ট ভিজিট করুন উপরের লিংকটিতে।
৩. সেখানে ক্যাটেগরি রয়েছে, সার্চিং সিস্টেমও রয়েছে আরও আছে টপ এবং নতুন আগমন করা এবং পেইড ও ফ্রি এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশনের তালিকা ।
আপনি ইচ্ছে মত যে কোন সিস্টেম বেছে নিতে পারেন। মনে করি আপনি বাছাই করলেই ‘সার্চিং সিস্টেম’। তাহলে ‘প্লে স্টোর’ এর প্রায় উপরেই একদম ডান পাশেই সার্চ বাটন (ম্যাগনিফাইয়ার গ্লাস আইকন) দেখতে পাবেন। Read More
সহজ ভাষায় বলতে হলে ‘এন্ড্রয়েড এপ্লিকেশন’ হচ্ছে এন্ড্রয়েড ডেভেলপারদের দ্বারা ডেভেলপ করা সফটওয়্যার যা সাধারণত স্মার্ট-ফোন বা কোন স্মার্ট ডিভাইসের জন্য করা হয়ে থাকে। এন্ড্রয়েডের ভাষায় এই ডেভেলপ করা সফটওয়্যারকে ‘এপ্লিকেশন’ বা সংক্ষেপে ‘এ্যাপ বা এ্যাপস’ বলে।
অনেক ধরনের এ্যাপস রয়েছে। এর ভিতরে কিছু এ্যাপ ডিভাইসকে নতুন সিস্টেমে পরিণত করে, কেউ নতুন সাজে সাজায় – যাকে ‘থিম’ বলে; কিছু ‘এ্যাপ’ সময় কাটানোর জন্য বা বিনোদের জন্য কাজে আসে – যেমন : গেমস, মিউজিক প্লেয়ার, ভিডিও প্লেয়ার, সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ইত্যাদি; এডুকেশনাল এ্যাপও রয়েছে প্রচুর পরিমানে – যেমন : ‘ডিকশনারি’, ‘গুগল ট্রান্সলেট’, ‘এনসাক্লোপেডিয়া’ থেকে শুরু করে অসংখ্য এ্যাপস; ইন্টারনেট ব্যবহার করার জন্য যে সিস্টেম বা ব্রাউজার তাও একটি এ্যাপ; এছাড়াও যোগাযোগ রক্ষার জন্য রয়েছে ‘স্কাইপ’, ‘ইয়াহু মেইল ও ম্যাসেঞ্জার’, ‘গুগল মেইল’, ‘জি-টক’, ‘ফেইসবুক’ ইত্যাদি। এইভাবে আরও অনেক ধরনের এপ্লিকেশন রয়েছে। মূলত এই সকল এপ্লিকেশনই হচ্ছে এন্ড্রয়েড ফোনের/ডিভাইসের প্রাণ। Read More