জীবনের প্রথম চাকরি-ইন্টারভিউ…(!?)

আমার চাকরির জন্য হঠাৎ করে আমি নিজেই একবার ট্রাই করে বসলাম। ( কিছুদিন অন্যদের এই ব্যাপারে ট্রাই করতে বলেছিল আমার মা, নিজের লোকোরা আসলেই কোন উপকারে আসতে চায় না। এতোদিন আমি নিজে চেষ্টা করি নাই। ভালো লাগে না চাকরি করতে। ) যাহোক, এইবার আম্মা বলায় আমি বিডিজবস এ একবার একটা জব এর জন্য এপ্লাই করে ফেললাম। খান ব্রাদারস ইনফরটেক এর একটা ফ্রীল্যান্সের জব। অবাক করে দিয়ে আমার কাছে একটা কল চলে এলো দু’দিন পরেই খান ব্রাদারস থেকে। আমাকে একবার যেতে বলেছে। আমি গেলাম। বিশাল একটা অফিস। শান টাওয়ারে। শান্তিনগরের চামেলীবাগে। আমার সাথে কথা বলে খুবই আনন্দিত হয়ে আমাকে জুলাই এর ১ তারিখ বলেছে ফোন করে ডেট বলে দেবে। আমি তো ভেবেছিলাম কি না কি জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু আমার সাইটগুলো দেখে আর আমি সিআইএস ( কম্পিউটিং ইনফরমেশান সিস্টেমস ) এর ছাত্র শুনে আর কিছুই জিজ্ঞাসা না করে বলল, আমি কেমন স্যালারি আশা করছি। মানে সব ঠিক। আমি তো মোটামুটি অবাক হলাম। এসব তো কোন ভয়ের কিছু না, আগে ভাবতাম অনেক কঠিন কি যেন। জুলাই এ চাকরী মোটামুটি রেডী করে বাসাতে আসার সময় আবার জানতে পারলাম আমাদের ড্যাফোডীলের একটি জবের জন্য সামসুদ্দিন স্যার আমাকে যেতে বলেছে। এই তো পরেছি মহা চিন্তায়!!
এখন আমি জুলাই এর ১ তারিখে কোনটা করবো – স্যারের টা নাকি খান ব্রাদারস এর টা। স্যারেরটা না করলে স্যার কি মনে করবে, আর খান ব্রাদার্সের টা আমি কি বলি তাদের!? দেখি জুলাই আসুক, কি হয়।
যা হোক আমার চাকরীর জন্য নিজের প্রথম চেষ্টাটাই সফল। মজাই লাগছে!!
লেখা : এলিন (এডমিন) ২০০৯

রাশিয়ান কৌতুক

রুশরা জাতি হিসেবে অনেক কৌতুকপ্রবণ। জীবনের অনেক কঠিন সত্য তারা কৌতুকের মাধ্যমে সহজভাবে তুলে আনে। তারই কয়েকটা এখানে দেওয়া হলো-

‌(১) দুই বান্ধবী গল্প করছে।

প্রথমজন : আর পারি না। বুঝেছিস!আমার স্বামী সব সময় তাঁর আগের বউয়ের কথা বলতে থাকে।

দ্বিতীয়জন : তাও ভালো! আমার স্বামী তো ভবিষ্যতে তার বউ যে হবে, তাকে নিয়ে কথা বলে।

(২) মন:শ্চিকিৎসকের কাছে এসেছেন এক নারী।

নারী : ডাক্তার সাহেব, আমার স্বামী নিজেকে নেপোলিয়ন ভাবা শুরু করেছে।

ডাক্তার : ঠিক আছে, চিকিৎসা শুরু করে দেব শিগগিরই।

নারী : কিন্তু ডাক্তার, চিকিৎসা করার চেয়ে তাকে কোনো এক দ্বীপে ছেড়ে দিয়ে আসা কি বেশি সহজ নয়?

(৩) এক যুবক বইয়ের দোকানে এসে জিজ্ঞেস করছে আপনাদের এখানে কি সাত দিনে কোটিপতি হওয়ার সহজ উপায় বইটি আছে?

– আছে। তবে সে বইটি জোড়া হিসেবে বিক্রি করা হয়, ফৌজদারি আইন, জেলখানা ও জেলে ভিতরে জীবন বইটির সঙ্গে।

(৪) দাদি : যা-ই বলিস! আমাদের সময় গানগুলো ছিল অনেক বেশি মোলোডিনির্ভর।

নাতনি : দাদি! এটা গান বাজছে না! মিক্সচারমেশিন কাজ করছে।

উৎস : প্রথম আলো ২০০৮