খাবার নিয়ে কুসংস্কার

(১) মালদ্বীপের মহিলারা গর্ভাবস্থায় মাংস খায় না। তাদের ধারণা, এতে হাঁপানি রোগ হয়।

(২) সিরিয়া ও লেবাননে শিশুদের ডিম খিতে দেয়া হয় না। তাদের ধারণা, ডিম কামুকতা বাড়ায়।

(৩) নাইজেরিয়ার কিছু কিছু সম্প্রদাযের ধারণা, শিশুদের ডিম খাওয়ালে তারা চোর হয়ে যায়।

(৪) বাংলাদেশের কিছু কিছু গর্ভবতী মহিলা আনারস খায় না গর্ভপাত হওয়ার ভয়ে। অনেকে আবার হাঁসের ডিম খায় না গর্ভের সন্তানের গলার স্বর হাঁসের মতো হবে বলে। আবার কিছু মহিলা যমজ কলা খায় না যমজ সন্তান হওয়ার ভয়ে।

উৎস : আমার দেশ ২০০৮

রাশিয়ান কৌতুক

রুশরা জাতি হিসেবে অনেক কৌতুকপ্রবণ। জীবনের অনেক কঠিন সত্য তারা কৌতুকের মাধ্যমে সহজভাবে তুলে আনে। তারই কয়েকটা এখানে দেওয়া হলো-

‌(১) দুই বান্ধবী গল্প করছে।

প্রথমজন : আর পারি না। বুঝেছিস!আমার স্বামী সব সময় তাঁর আগের বউয়ের কথা বলতে থাকে।

দ্বিতীয়জন : তাও ভালো! আমার স্বামী তো ভবিষ্যতে তার বউ যে হবে, তাকে নিয়ে কথা বলে।

(২) মন:শ্চিকিৎসকের কাছে এসেছেন এক নারী।

নারী : ডাক্তার সাহেব, আমার স্বামী নিজেকে নেপোলিয়ন ভাবা শুরু করেছে।

ডাক্তার : ঠিক আছে, চিকিৎসা শুরু করে দেব শিগগিরই।

নারী : কিন্তু ডাক্তার, চিকিৎসা করার চেয়ে তাকে কোনো এক দ্বীপে ছেড়ে দিয়ে আসা কি বেশি সহজ নয়?

(৩) এক যুবক বইয়ের দোকানে এসে জিজ্ঞেস করছে আপনাদের এখানে কি সাত দিনে কোটিপতি হওয়ার সহজ উপায় বইটি আছে?

– আছে। তবে সে বইটি জোড়া হিসেবে বিক্রি করা হয়, ফৌজদারি আইন, জেলখানা ও জেলে ভিতরে জীবন বইটির সঙ্গে।

(৪) দাদি : যা-ই বলিস! আমাদের সময় গানগুলো ছিল অনেক বেশি মোলোডিনির্ভর।

নাতনি : দাদি! এটা গান বাজছে না! মিক্সচারমেশিন কাজ করছে।

উৎস : প্রথম আলো ২০০৮

রবীন্দ্রনাথের জবাব

জীবনের শেষ দিকে এসে রবীন্দ্রনাথ একটু সামনের দিকে ঝুঁকে উবু হয়ে লিখতেন।

একদিন তাঁকে ওভাবে উবু হয়ে লিখতে দেখে তাঁর এক শুভাকাঙ্ক্ষী তাঁকে বলল, ‘আপনার নিশ্চয় ওভাবে উপুড় হয়ে লিখতে কষ্ট হচ্ছে। বাজারে এখন এ রকম অনেক চেয়ার আছে যেগুলোতে আপনি হেলান দিয়ে বেশ আয়েশের সঙ্গে লিখতে পারেন। ও রকম একটা আনিয়ে নিলেই তো পারেন’।

লোকটার দিকে খানিকক্ষণ চুপচাপ তাকিয়ে রবীন্দ্রনাথ জবাব দিলেন, ‘তা তো পারি। তবে কি জানো, এখন উপুড় হয়ে না লিখলে কি আর লেখা বেরোয়। পাত্রের জল কমে তলায় ঠেকলে একটু উপুড় তো করতেই হয়’।

উৎস : প্রথম আলো ২০০৮

কৌতুক

এক দম্পতির ঘরে এক ফুটফুটে ছেলে হল।

ছেলেটির বয়স এক ছাড়িয়ে দুই-এ পড়ল। তবু ও কান্না ছাড়া আর কোন কথা বা শব্দ করতো না।
এই নিয়ে ছেলের বাবা মা দু’জনই চিন্তিত।

এক সকালে ছেলেটি দাদা বলে কেঁদে উঠলো। এরপর ঘটলো এক আজব ঘটনা!
দেখা গেল ছেলেটির দাদা মাটিতে গড়াগড়ি খেতে খেতে মারা গেল।
পরদিন ছেলেটি একমাএ ফুফুর নাম নিতে তিনি ও শেষ।
একইভাবে কাকা,মামা,খালাও শেষ।

এরপর ছেলেটি যখন বাবার নাম নিল তখন ঘটলো আরেক আজব ঘটনা!
এর পরপরই পাশের বাড়ির এক কাকা মাটিতে গড়াগড়ি খেতে আরম্ভ করলো; ছেলেটির বাবা ওর মার দিকে
বাকহীন দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলো।

উৎস : প্রজন্ম ডট কম