উত্তর নাইজেরিয়ার ২৪ বছর বয়সী মোবারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্ ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেছেন হলুদ রংয়ের চার আসন বিশিষ্ট একটি হেলিকপ্টার। এটি তৈরি করেতে তিনি ব্যবহার করেছেন পুরনো গাড়ি এবং মোটরবাইকের যন্ত্রাংশ। আট মাস সময় নিয়ে বানানো এই কপ্টারটি এখন তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থাণ করছে।
কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন সারিয়ে তিনি এই কপ্টারটি বানানোর অর্থ জোগাড় করেন । অবশ্য তার বাবাও তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।
কপ্টারটির বডি তৈরিতে তিনি বাতিল অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছেন। যন্ত্রাংশ হিসেবে ১৩৩ অশ্বশক্তির একটি হোন্ডা সিভিক গাড়ির ইঞ্জিন যুক্ত হয়েছে এই কপ্টারে। আর আসন চারটি যোগাড় করা হয়েছে একটি পুরনো টয়োটা সেলুন গাড়ি থেকে। অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে নাইজেরিয়ার কানো’র কাছে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৪৭ এর কিছু যন্ত্রাংশও যুক্ত হয়েছে এই যানটিতে।
কপ্টারটির ককপিটে রয়েছে একটি পুশ-বাটন ইগনিশন, ভার্টিক্যাল থ্রাস্ট পরিচালনার জন্য অ্যাকসিলেটর লিভার এবং একটি জয়স্টিক যা এর ব্যালেন্স রক্ষা করে। ভূমি ক্ষেত্র দেখার জন্য ড্যাশবোর্ডে যুক্ত হয়েছে ক্যামেরা এবং যোগাযোগের জন্য স্থাপন করা হয়েছে একটি ছোট ট্রান্সমিটার।
প্রথম বানানো কপ্টারটির নানা ঘাটতি স্বীকার করে আবদুল্লাহ বলেন, “বায়ুমন্ডলের চাপ পরিমাপক যন্ত্র, আর্দ্রতা বা কৌণিক দুরত্ব পরিমাপের কিছু যন্ত্র এতে বাদ পড়েছে।”
তিনি আশা করেন, নাইজেরিয়ান সরকার বা তার দেশের ধনী অধিবাসীরা এসব যান কেনার ক্ষেত্রে আর পশ্চিমা উৎপাদনকারীদের দ্বারস্থ হবেন না। কপ্টারটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পর নাইজেরিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (এনসিএএ) অবশ্য এ ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখায় নি।
আবদুল্লাহ অবশ্য এরই মধ্যে আরেকটি উড্ডয়ন যন্ত্র বানানোর কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “সূক্ষতার এবং নান্দনিকতার বিচারে প্রথমটির তুলনায় এবারের যানে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।”
উৎস : বিডিনিউজ ২০০৮