১. থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস (Thyroid Disorders)
থাইরয়েড হচ্ছে, ‘প্রজাপতির আকারে দেখতে একটি গণ্ড যা মানুষের ঘাড়ে বিদ্যমান এবং কলার-বোন বা কণ্ঠার উপরে থাকে। ইহা একমাত্র অন্তঃ-স্রাবী গ্রন্থি যা হরমোন তৈরি করে থাকে। থাইরয়েড আমাদের বিপাক সেট কে সাহায্য করে (কি করে আমাদের শরীর খাদ্য থেকে শক্তি পায়)।
আর থাইরয়েড সমস্যাকে সহজভাবে বলতে গেলে গলার/ঘাড়ের সমস্যাকে বুঝায়। যা হোক, এই সমস্যা অনেক ধরনের হয়ে থাকে। সমস্যাগুলিকে ‘থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস’ বলা হয়। সাধারণত এটা ঘটে থাকে যখন থাইরয়েড সঠিকমত কাজ না করে। এই সময় মানুষের বেড়ে ওঠা, নার্ভাস-সিস্টেম ঠিকমত কাজ করে না। আর রোগী বিষণ্ণতায়ও ভুগে থাকে।
ডাক্তাররা সাধারণত এই ধরনের সমস্যা ‘থাইরয়েড ডিসঅর্ডারস’ এর কথা রোগীকে বলে না। কোন মতে মিথ্যে বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করে।
২. হার্ট এ্যাটাক (Heart )
হার্ট কাকে বলে আমরা প্রায় সকলই কমবেশি জানি তাই এটা নিয়ে বিস্তারিততে যাবো না। হার্ট এর সমস্যা-জনিত রোগের ভিতরে একটা রোগ এর নাম ‘হার্ট এ্যাটাক’। এই সমস্যা তখনই হয় যখন রক্ত প্রবাহিত হয়ে হার্ট এ চলে আসে এবং হার্টকে ব্লক করে ফেলে।
ডাক্তাররা সাধারণত এই রোগের রোগীদেরকে রোগটির ব্যাপারে মিথ্যে বলে এবং বিষয়টি প্রায় গোপন রাখে।
৩. ক্যানসার (Cancer)
ক্যানসার হচ্ছে এক প্রকারের এ্যাবনরমাল অথবা ম্যালিগন্যান্ট অনিয়ন্ত্রিত কোষগুলির অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে ওঠা। অনেক প্রকারের ক্যানসার রয়েছে যা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ করবো না। যা হোক, যদি ক্যানসার এমন অবস্থার সৃষ্টি করে যা আর সারানো সম্ভব না, এবং রোগী অবশ্যই মৃত্যুর দিকে চলে যাবে, তবুও ডাক্তাররা এই রোগ সম্পর্কে রোগীকে মিথ্যে বলে এবং সান্ত্বনা দেয় কিছুই হবে না।
৪. ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস (Bacterial Meningitis)
ব্রেইন এবং স্পাইনাল কর্ড টিস্যুর কিছু স্তরে সুরক্ষিত থাকে যাকে মেনিনজেস বলে।
ব্যাকটেরিয়াল মেনিনজাইটিস রোগটি ঘটে তখন, যখন মেনিনজেস ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা আক্রান্ত হয়ে থাকে। এটা একটি সম্ভাব্য মারাত্মক অবস্থা।
ডাক্তাররা সাধারণত এই রোগটির ব্যাপারেও কিছুই বুঝতে দেয় না।
৫. করোনারি আর্টারী রোগ (Coronary Artery Disease)
আর্টারি বা ধমনীতে পানি জমে গিয়ে শক্ত অথবা সরু হয়ে যায়, একেই করোনারী আর্টারি রোগ বলে। এটিও এক প্রকারের সম্ভাব্য মারাত্মক অবস্থা সৃষ্টি করে থাকে।
আর ডাক্তাররা এই রোগের রোগীদেরকে এই রোগ সম্পর্কে বুঝতে দেয় না।