আমার ডেভেলপ করা এন্ড্রয়েড এ্যাপ : ‘বাংলা জোকস’

আমার প্রায় কৌতুকের প্রয়োজন হয়। নিজের এবং অন্যকে খুশি রাখার জন্য। কিন্তু সব সময় সব কৌতুক মনে থাকেনা। যদি এমন হতো কৌতুকগুলো সব সময় আমার হাতের কাছে থাকে কেমন হয়! অমনি মনে পড়ে গেলো স্মার্ট-ফোনটির কথা। নেটে খুঁজেও তেমন ভালো এ্যাপ পেলাম না। একটি পেয়েছিলাম কিন্তু সেখানে কৌতুকের সংখ্যা খুবই কম। আমার প্রয়োজন সকল কৌতুক থাকে এমন এ্যাপ। হোক কিছু সাইজে বড় এবং স্লো। সমস্যা নেই। প্রয়োজনের সময় এসব মেনে নেয়া যায়।

অমনি ঠিক করলাম নিজেই একটি এ্যাপ ডেভেলপ করি। এতে প্রাকটিস হবে আর কৌতুকও পেয়ে যাবো। বিডি-জোকস এর ভালোলাগা প্রায় কমবেশি সকল কৌতুকই নিয়ে নিলাম এ্যাপটির জন্য। এবং অপর একটি সাইট ধরলাম প্রায় শেষও করলাম। এখন কয়েক’শ বাকি রয়েছে কৌতুক। এবং সব শেষে যে এ্যাপটি পছন্দ হয়েছিল তারও ভালো লাগা কমবেশি সব এ্যাপ নিয়ে নিলাম। নিয়ে নিলাম মানে ডাটা-এন্ট্রি করা শুরু করে দিলাম।

বাংলঅ জোকস
বাংলা জোকস

এ্যাপটি ডিজাইন, ডেভেলপিং শেষ করে ডাটা এন্ট্রি করা শুরু করে দিলাম। ডাটা এন্ট্রি করাই এখনও বাকি রয়েছে। টার্গেট ছিল ২০০০ জোকস। কিন্তু করেছি ১৮০০+ জোকস এর কালেকশান। পরে বাকিগুলো করে নেবো। Read More

কৌতুক : ‘I PAID’ !!

একটি ইলেক্ট্রনিক দোকান থেকে বেড় হচ্ছে একটি পরিবার –
ছেলের হাতে একটি ‘i-PAD’;
মেয়ের হাতে একটি ‘i-POD’;
মায়ের হাতে একটি ‘i-Phone’এবং
সবশেষে বাবা বেড় হচ্ছে, তার হাতে একটি ছোট্ট কাগজের টুকরা আর তাতে লেখা – ‘I PAID !!’ …. 🙂

আমিও প্রতি সপ্তাহে মন্দির যাবো …

নববিবাহিত দম্পতি আলাপ করছে –
স্ত্রী : আমি প্রতি সপ্তাহে বসুন্ধরা যাবো।
স্বামী : কেন ?
স্ত্রী : কেন মানে, মার্কেট করতে!
স্বামী : অ্যা!!
স্ত্রী : আর প্রতি সপ্তাহে একবার কাঁটাবন যাবো।
স্বামী : কাঁটাবন কেন ?
স্ত্রী : কেন আবার, চাইনিজ খেতে।
স্বামী : (বড় বড় চোখ করে) হুম!
স্ত্রী : আর শুনো, প্রতি সপ্তাহে একবার…
স্বামী : আমিও প্রতি সপ্তাহে একবার মন্দির যাবো।
স্ত্রী : মন্দির কেন ?
স্বামী : কেন আবার, ভিক্ষা করতে।

এইটি আমি কবে যেন টিভিতে বিজ্ঞাপনের মাঝে অংশবিশেষ দেখেছিলাম। হঠাৎ মনে পড়ায় নিজের মত করে লিখেছি, তাই গুছিয়ে হয়তো বা লিখতে পারি নাই। এই লেখাটা আমি রংমহল ফোরামে প্রথমে দিয়েছিলাম।

বিখ্যাতদের রসাল ঘটনা

দামি বলে

খ্যাতিমান শিল্পী পাবলো পিকাসোর বাড়িতে একদিন এক অতিথি এলেন বেড়াতে। সারা বাড়ি ঘুরে তিনি ভীষণ অবাক। বাড়িতে অনেক কিছুই আছে, কিন্তু পিকাসোর কোনো চিত্রকর্ম নেই। এত বড় একজন শিল্পীর বাড়িতে তাঁর নিজের আঁকা ছবি থাকবে না, এ কেমন কথা! কৌতুহল দমাতে না পেরে তিনি পিকাসোকে জিজ্ঞেস করে বসলেন, ‘কী ব্যাপার, বাড়িতে আপনার আঁকা কোন ছবি নেই কেন?’ পিকাসো দীর্ঘশ্বাস ফেলে জবাব দিলেন, ‘আমার এত টাকা কোথায় যে বাড়িতে পিকাসোর ছবি থাকবে? তাঁর ছবিগুলোর যে দাম!’

লেখা : এলিন

উৎস : প্রথম আলো

সেটা হচ্ছে আমার মুখ

এক শহরের ইমাম, পাদ্রী, আর রাবাই একবার বেরিয়েছে ঘুরতে।

ঘুরতে ঘুরতে তারা তিনজন শহরের পাশে একটা অপূর্ব নির্জন লেকের সামনে হাজির হলো। যেহেতু ধারেকাছে কেউ নেই, কিছুক্ষণ আলাপ করে তারা সিদ্ধান্তে এলো, তারা কাপড়চোপড় খুলে পানিতে নামবে।

যে-ই ভাবা সেই কাজ, একটা ঝোপের আড়ালে কাপড় খুলে রেখে তিনজনই পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়লো।

ঘন্টাখানেক পানিতে হুটোপুটি করে, এই মুক্তির স্বাদ উপভোগ করে তিন ধর্মযাজক আবার তীরে উঠে এলো। তারা ঝোপের দিকে এগোতে যাবে, এমন সময় শহরের একদল নারীপুরুষ সেখানে এসে হাজির। কী করা উচিত, বুঝতে না পেরে ইমাম আর পাদ্রী তাদের নাভির নিচটা দুহাতে ঢেকে ফেললেন, আর রাবাই ঢাকলেন তার মুখ। তারপর তিনজনই ভোঁ দৌড় দিলেন ঝোপের আড়ালে।

লোকজন চলে যাওয়ার পর পাদ্রী আর ইমাম রাবাইকে জিজ্ঞেস করলেন, কেন তিনি তাঁদের মতো লজ্জাস্থান না ঢেকে মুখ ঢেকে ফেলেছিলেন।

রাবাই নির্বিকার মুখে বললেন, ‘আপনাদের জমায়েতে কী হয়, আমি বলতে পারবো না, কিন্তু আমার জমায়েতের লোক আমাকে যা দেখে চিনে ফেলবে, সেটা হচ্ছে আমার মুখ।’

উৎস : বিডিজোকস ২০০৮