এন্ড্রয়েড সমাচার : বেসিক আলোচনা – (পর্ব : ২)

স্মার্ট-ফোন :

স্মার্ট-ফোন হচ্ছে একটি ফোন যা তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কিছু বাড়তি সুবিধা দিয়ে। সাধারণত একটি স্মার্ট-ফোনে পিডিএ, ডিজিটাল ডায়েরী, পোর্টেবল মিডিয়া প্লেয়ার, ডিজিটাল ক্যামেরা, পকেট ভিডিও ক্যামেরা এবং জিপিএস ন্যাভিগেশনের সকল সুবিধাই থাকে। আরও থাকে ওয়াই-ফাই এবং অনেক কিছু।

সহজ কথায় বলতে গেলে বলতে হয় স্মার্ট টেকনোলজি’ব্যবহার করে যে সকল ফোন তাদের ‘স্মার্ট ফোন’ বলে।

স্মার্ট টেকনোলজি :

ইংরেজিতে ‘S.M.A.R.T.’ যার পূর্ণ রূপ হলও (Self-Monitoring, Analysis and Reporting Technology) একে আবার ‘SMART’ এইভাবেও লেখা হয়।

অর্থাৎ যে ডিভাইস নিজেই নিজেকে মনিটরিং (দেখাশুনা) করতে পারে, পর্যবেক্ষণ করতে পারে, সমস্যা নির্ণয় করতে পারে এবং সেই সাথে নিজেই রিপোর্ট প্রদান করতে পারে তাকে স্মার্ট টেকনোলজি বলা হয়।

যেমন : কোন স্মার্ট ডিভাইস নিজেই তার তাপমাত্রা পরিমাপ করবে (কতটুকু গরম হয়েছে), নিজেই এনালাইসিস করবে এই গরমটি উপযুক্ত কিনি, যদি গরম বেশি হয়ে যায় তাহলে রিপোর্ট দেবে এবং প্রয়োজনে নিজেই নিজেকে শাট-ডাউন বা বন্ধ করে দেবে। Read More

এন্ড্রয়েড সমাচার : বেসিক আলোচনা – (পর্ব : ১)

কিছু কথা :

(প্রথমেই বলে নিচ্ছি, এই বার্তি কথাগুলো অযথাই মনে হবে। তারপরেও বেসিক আলোচনায় এই কথাগুলো না বললেই নয়। বেসিক পর্ব শেষ হলেই পরবর্তী আলোচনা হবে শুধুমাত্র এ্যাপ/গেম এর রিভিউ ও ডাউনলোড এবং এ্যাপ ডেভেলপমেন্ট নিয়ে।)

আমি কোন এন্ড্রয়েড পণ্ডিত নই। এই বিষয়ে আমি এক ছাত্র মাত্র। নেট ঘেঁটে যেটুকু জানতে পারছি আর সামনে পারবো সেই সব আমি এই বইতে শেয়ার করবার চেষ্টা করবো। অনেকেই আছে নেট ঠিক মত ঘাটে না বা ঘাটার পর যখন দেখে ইংরেজিতে অনেক অনেক লেখা তখন নিরাশ হয়ে যায়। তাদের জন্য আমি খুবই সহজে লেখার চেষ্টা করবো। কোন কিছুরই বিস্তারিততে না গিয়ে যা জানা এই মুহূর্তে প্রয়োজন একজন নতুন হিসাবে ঠিক সেইটুকুই দিতে চেষ্টা করবো।

আমি বরাবরই টেকনোলজির প্রতি আগ্রহী। নিত্যনতুন গ্যাজেট এর ব্যাপারে জানার ইচ্ছেটা প্রবল। আর সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ার সুবাদে প্রোগ্রামিং এর প্রতিও ঝোঁকটা বেড়ে গেছে কিছুটা (যদিও ক্লাসের এ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া প্রোগ্রামিং এর কিছুই পারি না :p )

আমি আবার আমার সেলফোন পরিবর্তনে এক ধাপ এগিয়ে। রিসেন্টলি আমি যে সেলফোনটি ব্যবহার করছি সেটা হল একটি স্মার্ট-ফোন, যার অপারেটিং সিস্টেম ‘এন্ড্রয়েড’।

আমি যে অনেক জানি এই ব্যাপারে, তা কিন্তু না। তবে, যেটুকু জানি, যখনই জানবো সবই এখানে শেয়ার করার চেষ্টা করবো।

আমার কিছু ছোটভাই/বন্ধু, যারা আমার হাতে এই ফোনটি দেখে হুট করে এন্ড্রয়েড ফোন কিনে পড়েছে মহা বিপাকে আর আমাকে প্রায়ই ফোন করে, ফেইসবুকে ম্যাসেজ দিচ্ছে এবং বাসাতেও আসছে এটা, ওটা সমস্যা নিয়ে। চেষ্টা করি সমাধান দেবার। আর না পারলে (ফান করে) বলি ফোনটা পাল্টে ফেলে সহজ কোন ফোন কিনে নেও। :p বলেই আমি নেটে ঘাটতে থাকি তার সমস্যাটি সমাধানের জন্য।

আমার সেই সকল সমস্যায় পড়া ভাই/বোনদের কথা মনে করেই ‘এন্ড্রয়েড’ নিয়ে আমার এই পোস্ট ! 🙂

এখানে এন্ড্রয়েড এর বেসিক নিয়ে যেমন আলোচনা করার চেষ্টা করবো, তেমনি এ্যাপস ও গেমস নিয়ে এবং এ্যাপস ডেভেলপিং নিয়েও আলোচনা করার চেষ্টা করবো। তবে সব কিছুর একটা ধারাবাহিকতা আছে। আমি সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেই এই সকল ভূমিকা এবং ইতিহাস দিয়ে শুরু করছি।

তবে বিস্তারিততে যাবো না। অনেকেই আছে একদম নতুন তারা জানতে চায় ঠিকই কিন্তু বিস্তারিত আলোচনার জন্য তারা যা জানতে চায় তাই তাদের অজানা রয়ে যায়, সেদিকটাও লক্ষ রেখে এখানে লেখার চেষ্টা করছি।

এন্ড্রয়েড কি :

এন্ড্রয়েড হচ্ছে একটি লিনাক্স-বেইসড অপারেটিং সিস্টেম, যা ডিজাইন করা হয়েছে প্রধানত টাচ-স্ক্রিন ডিভাইসের জন্য যেমন স্মার্ট-ফোন এবং ট্যাবলেট কম্পিউটার। আর এই অপারেটিং সিস্টেমটি যারা ডেভেলপ করেছেন সেই ডেভেলপারদেরকে গুগল কিনে নেয় ২০০৫ সালে। তারপর থেকেই ‘এন্ড্রয়েডের’ মালিক এখন গুগল। Read More

বিশ্বের প্রথম নাইটক্লাব যা তৈরি করা হয়েছে কেবল ছোটদের জন্য

নাইটক্লাব, যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের যাওয়ার অনুমতি নেই। যদি এমন কোন নাইটক্লাব তৈরি হয়, যেখানে অপ্রাপ্তবয়স্করাই কেবল প্রাধান্য পাবে ! চমকে যাবার মত কথা তাই না ?

হ্যাঁ, সত্যিই এইবার বিশ্বের প্রথম নাইটক্লাব তৈরি করা হয়েছে যা কেবল ছোটদের জন্য। ছোট মানে শুধু টি-নেজার তারা নয়, ১০/১২ বয়সের শিশুরাও সেখানে যেতে পারবে !nightclub in russia

নাইটক্লাবটি তৈরি করা হয়েছে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে, যাকে রাশিয়ানরা ‘ভূগর্ভস্থ গ্যারেজ’ বলে থাকে। সেখানেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সারারাত ধরে পার্টি করে থাকে।

সেখানে মনে হয় না ড্রিঙ্কস করার জন্য কোন বয়সের সীমা দেয়া রয়েছে। যে যত পারে ড্রিঙ্কস করে যাচ্ছে। এছাড়াও যা ইচ্ছে তাই তারা করতে পারছে কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই। আর এই বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে এর থেকে বড় পাওয়া কি হতে পারে ! তাই যতই দিন যাচ্ছে ভিড় বেড়েই চলছে এই সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের এই নাইটক্লাবটিতে। Read More

মজিলা ফায়ারফক্স : ‘History Close Tab’ ডিজেবল করা

আমরা যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করি, তাদের কাছে এই মজিলা ফায়ারফক্স নামটি খুবই পরিচিত। এটি একটি ব্রাউজার, যা দিয়ে আমরা ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারি।

মজিলা ফায়ারফক্স এর একটি বিশেষ সুবিধা হল একসাথে একাধিক ট্যাব এর ব্যবহার, যা আমাদের একাধিক ওয়েবসাইটকে একটি ব্রাউজারের ভিতরেই সীমাবদ্ধ রাখতে সাহায্য করে।

যখন যেই ট্যাব এর প্রয়োজন শেষ হয়ে যায় আমরা সেই ট্যাবটি ক্লোজ করে ফেলি। কিন্তু ক্লোজ করে ফেলা সর্বশেষ ১০ টি ট্যাব এর তথ্য সেইভ রয়ে যায় এই ব্রাউজারেই। এর সুবিধা হল, যদি কেউ ভুলে কোন ট্যাব ক্লোজ করে ফেলে তাহলে সেটাকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে।

কিন্তু কেউ যদি চায় তার সকল ভিজিট করা ওয়েবসাইটের তথ্য সেইভ থাকবেনা এবং সে ক্যাশ, হিস্টোরি ইত্যাদি ক্লিয়ার করে ফেলে তারপরেও অনেক সময় দেখা যায় ক্লোজ করা সর্বশেষ ১০ টি ট্যাব ঠিকই রয়ে যায়। এবং কোন মতেই সেটা ক্লিয়ার করা যায় না।

আবার অনেকে মনে করতে পারে এই সুবিধাটি তার প্রয়োজন নেই। উপকারের থেকে বরং তাকে অপকার করছে এটা। তাহলে সে ইচ্ছে করলেই মজিলা ফায়ারফক্স এর এই সুবিধাটি ডিজেবল বা বন্ধ করে রেখে দিতে পারে। এতে করে তার আর ক্লোজ করে ফেলা কোন সাইট সেইভ থাকবে না। একেই বলে ‘Disable History Close Tab’।

অনেক কথা হল এখন আসল  কাজে আসি :

১. মজিলা ফায়ারফক্সের এড্রেস-বারে (যেখানে ওয়েবসাইটের ওয়েব এড্রেস টাইপ করা হয়) টাইপ করুন : about:config Read More

ব্যাট ফ্লাওয়ার : বাদুর-মুখো এক অদ্ভুত ফুল

bat_devils_flower
ব্যাট অথবা ডেভিলস ফ্লাওয়ার

পূর্বে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম বানরের মত মুখওয়ালা ‘অর্কিড’ ফুল নিয়ে। আজও একটি ফুল দেখলাম নেট ঘাঁটতে গিয়ে, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই ফুলটিও কম অদ্ভুত নয়। পৃথিবী বড়ই বিচিত্র এই ফুলটি আরও একবার মনে করিয়ে দেয়।

ফুলটিকে দুর থেকে দেখলে অনায়াসেই মনে হতে পারে সায়েন্স ফিকশন মুভির কোন এক ভিন্ন গ্রহের প্রাণী গাছে গাছে ঝুলে রয়েছে। অনেক সময় মনে হয় উড়ন্ত বাদুরের মতো, তাই একে ‘ব্যাট ফ্লাওয়ার’ বলে। ভালো করে দেখলে এই ফুলগুলিকে মনে হবে বাদুর তার মুখটাই যেন হা করে আছে আবার কখনও ভিন্ন কোন প্রাণীর কথাও মনে হতে পারে। কিছু কিছু ফুলকে দেখলেই হিংস্র ও ভয়ংকর বলে মনে হবে, তাই হয়তোবা এর আরেক নাম ‘ডেভিলস ফ্লাওয়ার’।

প্রিডেক্টর ফিল্মটি যে সময় তৈরি করা হয়েছিল তখন এই ফুলটি আবিষ্কার হয় নি। কিন্তু অবাক ব্যাপার সেই ফিল্মটিতে এই ব্যাট ফুল দেখানো হয়েছিল। ভয়ংকর এক কাল্পনিক প্রাণী হিসাবে একে তৈরি করা হয়েছিল। ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছিল যে, ফুলগুলি ছিল কালো বাদুরের মত এবং তারা নিজে নিজে বাড়তে পারতো ১২ ইঞ্চিরও বেশি এবং ‘গোঁফ’ ছিল ৩০ ইঞ্চিরও বেশি।

ইহা এখন কল্পনার রাজ্য থেকে বাস্তব রাজ্যে চলে এসেছে। সেই বাদুর-মুখো, ভয়ংকর দেখতে। মনে হয় ভিন্ন গ্রহের প্রাণী। Read More