তিমি মাছ : পৃথিবীতে একাকীত্বই আজ যার সঙ্গী

২০০৪ সালে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর একটি আর্টিকেলে এই তিমি (মেয়ে তিমি) মাছটিকে নিয়ে লেখা হয়। তিমি মাছটির পৃথিবীতে কেউ নেই। একাকিত্বভাবেই ঘুরে বেড়ানো তার কাজ। একাকীত্বকে মেনে নেয়া ছাড়া কোন কিছুই তার করার নেই। বিজ্ঞানীরা এই তিমিটিকে ১৯৯২ সাল থেকেই দেখে আসছে এবং তারা কিছু সমস্যাও বেড় করলো :

 

সে অন্যান্য তিমির মত না। অন্যান্য তিমি মাছদের মত তার কোন বন্ধু নেই, কোন পরিবার নেই। সে কোন কোন জাতিভুক্ত না বা কোন দল নেই। তাকে ভালোবাসার কেউ নেই। অনেকেই আমরা জানি তিমিরা গান গাইতে পারে। যখন একজন তিমি গান গায় তার গানে অন্যান্য তিমিরা গলা মেলায়, গান শুনে একত্র হয় যার ফলে একটি দল-গঠিত হয় এবং তা অনেক সময় ধরেই চলতে থাকে। এই গান তাদের কাছে এক ধরনের ডাক ছিল যে ডাকে অন্যান্যরা সাড়া দিতো। কিন্তু এই তিমিটার গান সেই সব কিছুই ঘটাত না। কিন্তু তার কণ্ঠ অন্যান্যদের মত ছিল না। এটা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। যেখানে অন্যান্যদের গানের ফ্রিকোয়েন্সি ছিল ১২ এবং ২৫ মেগাহার্টজ, সেখানে এই নিঃসঙ্গ তিমিটার ফ্রিকোয়েন্সি ছিল প্রায় ৫২ মেগাহার্টজ (এই নিয়ে বিস্তারিত যাবো না)। বিজ্ঞানীরা দেখল এটাই এই তিমিটার মূল সমস্যা। অন্য কোন তিমি মাছেরা তার গান শুনতে পায় না। তার সেই গান, সেই ডাক কান্নায় পরিণত হয়ে ফিরে ফিরে আসে। আর সেই সাথে সে গভীর কাতর ও হতাশ হয়ে পড়ে।

উৎস : worldofamazings.com

অনুবাদ ও সম্পাদনা : এডমিন