সর্বক্ষণ হাসতে থাকা একটি ছেলে

ছেলেটি একটি দুর্লভ ব্যাধিতে আক্রান্ত। যার কারণে তার হাটতে এবং কথা বলতে কষ্ট হয়। কিন্তু সে সব সময় খুশি থাকে। কারণ সে তার হাসি থামাতে পারে না। আর এটাই এর রোগ।

ছেলেটি ওয়াইল্টশায়ার এর ডেভিজেস নামক অঞ্চল বাস করে, নাম ‘ওল্লী প্যাথেরিক’। সে জন্ম থেকেই এ্যাঞ্জেলমেন সিনড্রোমে (ক্রোমোজন ডিসঅর্ডার) আক্রান্ত। এর ফলে সে অনেক ধরনের জটিলতায় ভুগছে। এবং তার মুখটি সর্বক্ষণ এমনভাবে থাকে যেন সে হাসছে। সহজেই সে উত্তেজিত হয়ে পরে। সে খুবই শান্ত প্রকৃতির ছেলে।

ওল্লী ও তার মা
ওল্লী ও তার মা

এমন কেইস লন্ডনে অনেক কম দেখা যায়। প্রায় ১০০০ এর ও কম কেইস এমনটি দেখা গিয়েছে সেখানে। তার মা ‘ক্যাম্পবেল’ অনেক চেষ্টা করেন তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য। কোন ডাক্তারই তা ঠিক করতে পারেনি। ক্যাম্পবেল অনলাইনেও এই রোগ নিয়ে অনেক পড়াশোনা করে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও কোন উপায় বেড় করতে পারিনি। ক্যাম্পবেল এমন অনেক মা’য়েদের সাথে যোগাযোগ করেছেন যাদের সন্তানরাও এই এ্যাঞ্জেলমেন রোগে আক্রান্ত। তিনি তাদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন, যদি কিছু করা যায়। তিনি তার ছেলেকে নিয়ে খুবই চিন্তিত এবং সব সময় কষ্টে থাকেন। তিনি বলেন তিনি তার ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে তেমন চিন্তিত নন। তিনি সবসময় ভাবেন কি করে বুঝবেন তার ছেলে কখন কষ্টে থাকে। ছেলে প্রকৃত অনুভূতি বুঝবেন কি করে এটাই তার কষ্ট। Read More

বিশ্বের সব থেকে কম বয়সী মন্ত্রী

মাত্র ১৬ বছর বয়সে পা দিয়েই মন্ত্রী হয়ে যায় প্যালেস্টাইনের একটি মেয়ে, নাম ‘বাশায়ের ওথমান’। বর্তমানে সেই বিশ্বের একমাত্র কম বয়সী মন্ত্রী। সে ওয়েস্ট ব্যাঙ্কের লোকাল এডমিনেষ্ট্রেশন মন্ত্রণালয় পরিচালনা করেছিল একটি দিনের জন্য। সেই সময় দায়িত্বশীল মন্ত্রী ‘ইহাব বেসাইসো’ মেয়েটির গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।

বাশায়ের ওথমান : বিশ্বের সব থেকে কম বয়সী মন্ত্রী
বাশায়ের ওথমান : বিশ্বের সব থেকে কম বয়সী মন্ত্রী

এই মেয়েটি আগেও একবার দুই মাসের জন্য মেয়র পদেও ছিল। এক বছর আগেও একবার দুই মাসের জন্য বাসায়ের আল্লার শহরের মেয়র হয়েছিল। সেই সময় সেখানে প্রায় ৯০০০ লোকের বসবাস ছিল। হিজাব পরিহিত এবং সম্পূর্ণ চুল ঢেকে থাকা এই মুসলিম মেয়েটি সেই সময় এই ৯০০০ লোকের সমস্যা সমাধানে কাজ করেছিল।

মেয়েটি স্প্যানিশ এক খবরের কাগজ ‘এবিসি’ তে বলেছিল, “বেসাইসো সাহেব আমার শহর পরিদর্শনে গিয়েছিল এবং তিনি জানতেন যে আমি সেখানকার মেয়র পদে ছিলাম। আমি উনাকে আমার পরিকল্পনার কথা বলেছিলাম এবং তিনি অনেক অবাক হয়েছিলেন তা শুনে। আমি বলেছিলাম আমি আগ্রহী সেইসব কমবয়সী মানুষের জন্য যারা জানতো যে কোন কিছুই অসম্ভব না”। এর সাথে সে আরও যুক্ত করেছিল, “আমার মনে হয় প্যালেস্টাইনে কমবয়সী ছেলেমেয়েদেরকে রাজনীতিতেও আসা উচিত”।

লেখা : এলিন ২০১৩

সুত্র : অনলাইন

বয় থেকে বিউটিকুইন !!

বিউটি কুইন’ প্রতিযোগিতা যেখানে মেয়েরাই কেবল অংশগ্রহণ করতে পারে, সেখানে অংশগ্রহণ করেছিল ২১ বছরের এক ছেলে, ‘ড্যানিয়েল’। আশ্চর্য বিষয় হচ্ছে ডেনি যে ছেলে সেটা কেউ বুঝতে পারেনি। তাই তো তাকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে দেয়া হয়েছিল। তার চেহারা সুন্দর এক মেয়ের থেকে কোন অংশে কম ছিল না। এছাড়াও তার ছিল মেয়ে-সুলভ আচরণ, ঠোট নাড়ানো এবং অভিমান করার ধরন। যার কারণে যে কারও পক্ষে বিশ্বাস করা কঠিন হয়ে পড়ে ডেনি একজন ছেলে। ওয়েলস এর বেরি নামক এক শহর থেকে ডেনি এসেছিল লন্ডনের সেই ‘বিউটি কুইন ২০১৩’ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে।

Boy to beauty queen
ড্যানিয়েল

লেখা : এলিন ২০১৩

বিশ্বের প্রথম নাইটক্লাব যা তৈরি করা হয়েছে কেবল ছোটদের জন্য

নাইটক্লাব, যেখানে প্রাপ্তবয়স্ক ছাড়া অপ্রাপ্তবয়স্কদের যাওয়ার অনুমতি নেই। যদি এমন কোন নাইটক্লাব তৈরি হয়, যেখানে অপ্রাপ্তবয়স্করাই কেবল প্রাধান্য পাবে ! চমকে যাবার মত কথা তাই না ?

হ্যাঁ, সত্যিই এইবার বিশ্বের প্রথম নাইটক্লাব তৈরি করা হয়েছে যা কেবল ছোটদের জন্য। ছোট মানে শুধু টি-নেজার তারা নয়, ১০/১২ বয়সের শিশুরাও সেখানে যেতে পারবে !nightclub in russia

নাইটক্লাবটি তৈরি করা হয়েছে রাশিয়ার চেলিয়াবিনস্কে, যাকে রাশিয়ানরা ‘ভূগর্ভস্থ গ্যারেজ’ বলে থাকে। সেখানেই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা সারারাত ধরে পার্টি করে থাকে।

সেখানে মনে হয় না ড্রিঙ্কস করার জন্য কোন বয়সের সীমা দেয়া রয়েছে। যে যত পারে ড্রিঙ্কস করে যাচ্ছে। এছাড়াও যা ইচ্ছে তাই তারা করতে পারছে কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই। আর এই বয়সের ছেলেমেয়েদের কাছে এর থেকে বড় পাওয়া কি হতে পারে ! তাই যতই দিন যাচ্ছে ভিড় বেড়েই চলছে এই সকল অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েদের এই নাইটক্লাবটিতে। Read More

ব্যাট ফ্লাওয়ার : বাদুর-মুখো এক অদ্ভুত ফুল

bat_devils_flower
ব্যাট অথবা ডেভিলস ফ্লাওয়ার

পূর্বে আমি একটি পোস্ট করেছিলাম বানরের মত মুখওয়ালা ‘অর্কিড’ ফুল নিয়ে। আজও একটি ফুল দেখলাম নেট ঘাঁটতে গিয়ে, যা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। এই ফুলটিও কম অদ্ভুত নয়। পৃথিবী বড়ই বিচিত্র এই ফুলটি আরও একবার মনে করিয়ে দেয়।

ফুলটিকে দুর থেকে দেখলে অনায়াসেই মনে হতে পারে সায়েন্স ফিকশন মুভির কোন এক ভিন্ন গ্রহের প্রাণী গাছে গাছে ঝুলে রয়েছে। অনেক সময় মনে হয় উড়ন্ত বাদুরের মতো, তাই একে ‘ব্যাট ফ্লাওয়ার’ বলে। ভালো করে দেখলে এই ফুলগুলিকে মনে হবে বাদুর তার মুখটাই যেন হা করে আছে আবার কখনও ভিন্ন কোন প্রাণীর কথাও মনে হতে পারে। কিছু কিছু ফুলকে দেখলেই হিংস্র ও ভয়ংকর বলে মনে হবে, তাই হয়তোবা এর আরেক নাম ‘ডেভিলস ফ্লাওয়ার’।

প্রিডেক্টর ফিল্মটি যে সময় তৈরি করা হয়েছিল তখন এই ফুলটি আবিষ্কার হয় নি। কিন্তু অবাক ব্যাপার সেই ফিল্মটিতে এই ব্যাট ফুল দেখানো হয়েছিল। ভয়ংকর এক কাল্পনিক প্রাণী হিসাবে একে তৈরি করা হয়েছিল। ফিল্মটিতে দেখানো হয়েছিল যে, ফুলগুলি ছিল কালো বাদুরের মত এবং তারা নিজে নিজে বাড়তে পারতো ১২ ইঞ্চিরও বেশি এবং ‘গোঁফ’ ছিল ৩০ ইঞ্চিরও বেশি।

ইহা এখন কল্পনার রাজ্য থেকে বাস্তব রাজ্যে চলে এসেছে। সেই বাদুর-মুখো, ভয়ংকর দেখতে। মনে হয় ভিন্ন গ্রহের প্রাণী। Read More