পৃথিবীর সবথেকে বিস্ময়কর এবং জটিলতায়-ঘেরা রেললাইনগুলি

পৃথিবীর সব থেকে বিস্ময়কর এবং জটিলতাময় রেললাইন রয়েছে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট নামক অঞ্চলে। ছবিতে দেখলে কেউই বিশ্বাস করতে চাইবে না যে এটা সত্যিকারের দৃশ্য। অনেকেই বলবে, রেললাইন এমন হয় নাকি ? বা কেন এমন করে রেললাইন করতে যাবে ? কিন্তু হ্যাঁ, এটা আসলেই সত্যি।

আর এর থেকেও মজার কথা হচ্ছে, এখনও পর্যন্ত শোনা যায় নি যে জার্মানির সেই ফ্রাঙ্কফুর্ট এ কোন রেল এক্সিডেন্ট হয়েছে।

রেলওয়ে সিগন্যাল সম্পূর্ণরূপে অটোমেটেড যা নতুন এক ধরনের টেকনোলজির দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। কোন ট্রেনের অপেক্ষা করতে হয় না লেভেল ক্রসিং এর জন্য। এক সুন্দর সিস্টেমে সব কিছুই চলছে। এবং সবাই নির্ভয়েই সেই টেকনোলজির উপর বিশ্বাস রেখেই যাতায়াত করে যাচ্ছে। জার্মানির এই রেলওয়েটা অনেক ব্যস্ততাপূর্ন এলাকাতে পরিণত হয়েছে যা সত্যি বিস্ময়কর!

নিচে রেললাইনগুলির কিছু ছবি দেখানো হল :

Read More

নিঃসঙ্গ পুরুষের জন্য Robot Girlfriend

রোবটটি খুবই বন্ধু-ভাবাপন্ন, কিঞ্চিত বড় সাইজের, এবং সে ব্যাটারির সাহায্যে চলাফেরা করতে সক্ষম ।
Sega, যাকে বেশির ভাগ মানুষ চিনে বাসার ভিডিও গেম হিসাবে যা এইবার পরিচিত করিয়ে দিল এই রোবটটির সাথে। রোবটটি একটি মেয়ে রোবট,

যার উচ্চতা ১৫ ইঞ্চি লম্বায় এবং নাম দেয়া হয়েছে ‘Girlfriend’। এই রোবটটি কমান্ডের মাধ্যমে চুম্বন করতেও সক্ষম ঠিক টার্গেট-মত কোন বড় নিঃসঙ্গ মানুষকে । এই রোবটটির রিয়েল নাম রাখা হয়েছে “EMA” (ইমা), যার পুরো অর্থ দ্বারায় Eternal Maiden Actualization। ইহা মানুষের মাথার মত ভাঁজ করতে পারে এবং লাভ-মোডে যেতে পারে সম্পূর্ণ সেন্সর ব্যবহার করে। এই রোবটটি খুবই ভালোবাসার যোগ্য এবং সে কোন মানুষ না কিন্তু একদম আসলে গার্ল-ফ্রেন্ডের

মত আচরণ করতে পারে।
EMA ব্যবসায়ে ব্যবহারযোগ্য কার্ডে সাইনও করতে পারে এবং ড্যান্স দিতে পারে।
Sega আশা করছে এর বিক্রি হতে পারে প্রথম বচরেই ১০ হাজার এর মত ।

বন্ডের সেরা পাঁচ গ্যাজেটস

জেমস বন্ডের সবচে’ পছন্দের খেলা সম্ভবত মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই। আর মজার (!) এই খেলায় বিভিন্ন সময় তাকে সাহায্য নিতে হয়েছে বেশ কিছু গ্যাজেটস এর। নিজের তীক্ষ্ণ বুদ্ধির পাশাপাশি অসাধারণ ওসব গ্যাজেটস এর কারিশমায় প্রতিবার জিতেও গেছেন তিনি।

Read More

গাড়ির জন্য নতুন জিপিএস নেভিকেশন সিস্টেম

ট্রাফিক সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে বর্তমানে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য এবং বিজ্ঞানসম্মত উপায় হল গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) নেভিগেশন সিস্টেম। গাড়ি চলানোর সময় গতিবেগ সংক্রান্ত সমস্যায় কিংবা অপরিচিত স্থানে আকাঙ্খিত জায়গা খুঁজে পেতে ঝামেলা হতে পারে। এধরনের সমস্যা এড়াবার জন্য আপনি জিপিএস স্যাটেলাইট নেভিগেশনের সাহায্য নিতে পারেন।

এ প্রযুক্তির সাহায্যে আপনি কোন নতুন শহরে আপনার গতিপথ নির্ণয় করতে পারবেন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানা এড়াতে পারবেন এবং এমনকি সড়ক দুর্ঘটনা পর্যন্ত এড়াতে পারবেন। বর্তমানে নতুন জিপিএস স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেমের অন্যতম হল ইন্ডিকেটর।

এই নতুন জিপিএস সিস্টেম আপনি কোন নতুন স্পিড জোনে ঢুকলে আপনাকে সতর্ক করে দেবে, আপনাকে নিরাপদে গাড়ি চালাতে সাহাজ্য করবে এবং আপনাকে ভয়েস অ্যালার্ট সিস্টেমের সাহায্যে আসন্ন বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করবে। আপনি যখন গতি সীমা অতিক্রম করবেন তখন ভয়েস এ্যালার্ট আপনাকে সাবধান করে দেবে এবং প্রয়োজন মতো আপনাকে পথনির্দেশনা দেবে।

সুপার এসথ্রি জিপিএস হল আরেকটি জিপিএস নেভিগেশন সিস্টেম। এই জিপিএস সিস্টেমে নির্দিষ্ট এলাকার ভৌগলিক অবস্থানের তথ্য সন্নিবেশিত রয়েছে, এমনকি ওই এলাকার সড়কগুলোর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ন এলাকাগুলোকে (যাকে ‘ব্ল্যাক স্পট’ নামে অভিহিত করা হয়) তা উল্লেখ করা রয়েছে।

সুপার এসথ্রি জিপিএস অ্যান্টেনার মাধ্যমে আপনার গাড়ির গতি এবং সর্বাধিক দুর্ঘটনা কবলিত এলাকাগুলো সম্পর্কে সর্বশেষ তথ্য জানাবে।

উৎস : বিডিনিউজ ২০০৮

ঘরে ‘কপ্টার’ বানিয়ে চমকে দিলেন নাইজেরিয়ার যুবক!

helicoptersউত্তর নাইজেরিয়ার ২৪ বছর বয়সী মোবারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ্‌ ঘরে বসেই বানিয়ে ফেলেছেন হলুদ রংয়ের চার আসন বিশিষ্ট একটি হেলিকপ্টার। এটি তৈরি করেতে তিনি ব্যবহার করেছেন পুরনো গাড়ি এবং মোটরবাইকের যন্ত্রাংশ। আট মাস সময় নিয়ে বানানো এই কপ্টারটি এখন তার বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অবস্থাণ করছে।

কম্পিউটার এবং মোবাইল ফোন সারিয়ে তিনি এই কপ্টারটি বানানোর অর্থ জোগাড় করেন । অবশ্য তার বাবাও তাকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন।

কপ্টারটির বডি তৈরিতে তিনি বাতিল অ্যালুমিনিয়াম ব্যবহার করেছেন। যন্ত্রাংশ হিসেবে ১৩৩ অশ্বশক্তির একটি হোন্ডা সিভিক গাড়ির ইঞ্জিন যুক্ত হয়েছে এই কপ্টারে। আর আসন চারটি যোগাড় করা হয়েছে একটি পুরনো টয়োটা সেলুন গাড়ি থেকে। অবশ্য বেশ কয়েক বছর আগে নাইজেরিয়ার কানো’র কাছে বিধ্বস্ত বোয়িং ৭৪৭ এর কিছু যন্ত্রাংশও যুক্ত হয়েছে এই যানটিতে।

কপ্টারটির ককপিটে রয়েছে একটি পুশ-বাটন ইগনিশন, ভার্টিক্যাল থ্রাস্ট পরিচালনার জন্য অ্যাকসিলেটর লিভার এবং একটি জয়স্টিক যা এর ব্যালেন্স রক্ষা করে। ভূমি ক্ষেত্র দেখার জন্য ড্যাশবোর্ডে যুক্ত হয়েছে ক্যামেরা এবং যোগাযোগের জন্য  স্থাপন করা হয়েছে একটি ছোট ট্রান্সমিটার।

প্রথম বানানো কপ্টারটির নানা ঘাটতি স্বীকার করে আবদুল্লাহ বলেন, “বায়ুমন্ডলের চাপ পরিমাপক যন্ত্র, আর্দ্রতা বা কৌণিক দুরত্ব পরিমাপের কিছু যন্ত্র এতে বাদ পড়েছে।”

তিনি আশা করেন, নাইজেরিয়ান সরকার বা তার দেশের ধনী অধিবাসীরা এসব যান কেনার ক্ষেত্রে আর পশ্চিমা উৎপাদনকারীদের দ্বারস্থ হবেন না। কপ্টারটির পরীক্ষামূলক উড্ডয়নের পর নাইজেরিয়া সিভিল এভিয়েশন অথরিটি (এনসিএএ) অবশ্য এ ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখায় নি।

আবদুল্লাহ অবশ্য এরই মধ্যে আরেকটি উড্ডয়ন যন্ত্র বানানোর কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলেন, “সূক্ষতার এবং নান্দনিকতার বিচারে প্রথমটির তুলনায় এবারের যানে আমূল পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে।”

উৎস : বিডিনিউজ ২০০৮